ওমিক্রন সংক্রমণের হার একটু একটু করে কমছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার যে রূপটি শুরু হয়েছিল, সেটি এখন আর খুব বেশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না অনেকের কাছেই কিন্তু এরই মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে ওমিক্রনের নতুন রূপ। ওমিক্রন BA.2। এরই মাঝে উঠে এল নতুন তথ্য। কাদের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রমণ বেশি মাত্রায় হয়েছে? সে সম্পর্কে নতুন তথ্য দিলেন বিজ্ঞানীরা।
কী বলছেন তাঁরা?
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের এর আগে করোনা সংক্রমণ হয়েছে এবং যাঁদের টিকার দু’টি ডোজই নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ওমিক্রন ছড়াচ্ছে বেশি মাত্রায়। এর পাশাপাশি যাঁদের করোনা সংক্রমণ হয়নি, কিন্তু টিকার দু’টি ডোজের পরে বুস্টার ডোজ নেওয়া হয়েছে, তাঁরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ওমিক্রনে। এমনই বলা হয়েছে Lancet পত্রিকার রিপোর্টে।
তার সঙ্গেও এটাও যোগ করা হয়েছে, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, বুস্টার টিকা নিলে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অনেকটা প্রতিরোধশক্তি পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বিষয়টি তেমন নাও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে আরও গবেষণা এবং সমীক্ষা দরকার বলেও মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু এ সবের মধ্যেও নতুন করে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন BA.2। টিকা, বুস্টার বা সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তি এই ওমিক্রন BA.2-র বিরুদ্ধে কতটা কার্যকর হতে পারে, তা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র রিপোর্ট বলছে, ওমিক্রনের তুলনায় ওমিক্রন BA.2-র সংক্রমণের হার তো বেশি বটেই, তার পাশাপাশি এটি ফুসফুসের ক্ষতিও করছে অনেক বেশি মাত্রায়।
তাই আগামী দিনে কীভাবে টিকার মাধ্যমে ওমিক্রন BA.2-কে আটকানোর চেষ্টা করা হবে, তা নিয়েও রীতিমতো উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা।