শুধু পরস্পরকে ভালোবেসে বিয়ে করতে চাইলেই হবে না, এবার সেই বিয়ের জন্য বাবা-মায়ের সই করা অনুমতিপত্রও জমা দিতে হবে। নাহলে সেই বিয়ে বৈধ বলে ধরা হবে না। শুধু তাই নয়, বিয়ের পরে নতুন বাড়িতে সংসার পাততে গেলেও লাগবে বাবা-মায়ের সই করা অনুমতিপত্র। নাহলে বাড়ি ভাড়া পাওয়া যাবে না। এবার এমনই নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিলেন দেশের এক বিধায়ক। তাঁকে সমর্থন করেছেন তাঁর বিরোধী দলের কয়েক জন সদস্যও।
সম্প্রতি গুজরাট বিধানসভায় ফতেসিং চৌহান নামের বিজেপি বিধায়ক এই প্রস্তাব করেছেন। তাঁকে সমর্থন করেছেন কংগ্রেসের কয়েক জন বিধায়কও। এর আগে গত বছর গুজরাটের পাতিদর সম্প্রদায়ের মানুষ এই দাবিটি তোলেন। তাঁদের কথার সমর্থন করে এবার এই একই প্রস্তাব তুললেন ফতেসিং চৌহানও।
কেন এমন প্রস্তাব? বিধায়ক বলেছেন, রাজ্যে প্রেম করে বিয়ে করার ফলে বহু ধরনের অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার থেকে শুরু করে অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে এতে। এর পিছনে বহু ক্ষেত্রেই রয়েছে বাড়ির অমতে বা বাড়িকে না জানিয়ে প্রেম করে বিয়ের করার মতো ঘটনা। প্রেম করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে নানা ধরনের ফাঁদ পাতা হচ্ছে বহু মেয়ের জন্য। তাঁরা শিকার হচ্ছেন এই ধরনের ঘটনার।
তবে বিধায়ক পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি প্রেম করে বিয়ে করার বিরোধী নন। কিন্তু বাড়ির অমতে বা লুকিয়ে বিয়ে করলে, যে যে অপরাধের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে, সেগুলি আটকানোর পক্ষে। আর সেই কারণেই তাঁরা এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন।
এখন গোটা বিষয়টি আইনমন্ত্রীর ভাবনাচিন্তার পর্যায়ে রয়েছে। আইনমন্ত্রী ঋষিকেশ প্যাটেলকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করা হয়েছে। যদিও তিনি এখনই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে এই বিষয়টি যে বেশ বড় আকার নিতে চলেছে, তা আন্দাজ করা গিয়েছে। এর আগে পাতিদাররা এই নিয়ে বেশ জোরালো আওয়াজ তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বহু মানুষ তাঁদের জমিজমা সম্পত্তির লোভে পাতিদার সম্প্রদায়ের মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে এবং তাঁদের বিয়ে করে। সেটি আটকানোর জন্য গত বছরের জুন মাসে এমন আইন প্রণনয়ের আবেদন জানান তাঁরা। তার পর থেকেই গুজরাটে অনেকেই এমন প্রস্তাব তুলেছেন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)