জীবনের অনেকটা সময়ই আমরা অফিসে কাটাই। আর যেখানে দিনের প্রায় অর্ধেকটা অংশ কাটাই সেখানকার পরিবেশ যদি সুস্থ না হয়, সেখানে যদি আপনাকে ক্রমাগত বুলিং এর শিকার হতে হয়, হেনস্থা হতে হয় তাহলে তার প্রভাব আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে পড়বেই। কিছুতেই এড়াতে পারবেন না। আর মানসিক স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাজের উপরে তার প্রভাব পড়বে।
তাঁরা ভীষণই ভাগ্যবান হন যাঁরা কাজ করার জন্য একটা সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ পান; কোনও রকম অফিস পলিটিক্স বা বুলিংয়ের শিকার হতে হয় না। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সেটা হয় না। কম বেশি সকলকেই বুলিং ফেস করতেই হয় অফিসে। এক্ষেত্রে কী করণীয়? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
আগে জেনে নেওয়া যাক অফিস বুলিং কী?
যখন কেউ বা কারা ক্রমাগত আপনাকে নিশানা বানিয়ে ডমিনেট করতে থাকে, কুমন্তব্য করতে থাকে, কাজে খুঁজে খুঁজে ভুল বের করে সেটা বড় করে দেখায়, কাজের সুযোগ দেয় না, অকারণ কথা শোনায় সেটাকেই বুলিং বলে।
অফিস বুলিং এর শিকার হলে কী হয়?
মানসিক স্বাস্থ্য ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চাপ বাড়ে। অবসাদ গ্রাস করে। কাজ করতে ইচ্ছে করে না। কাজে ভুল বাড়ে। অফিস যেতে ইচ্ছে করবে না। এর ফলে ধীরে ধীরে সুস্থ জীবনের ভারসাম্য হারাবে। সারাক্ষণ মাথাব্যথা, বিরক্তি, ইত্যাদি সঙ্গী হবে।
এবার দেখুন কী করবেন বুলিং এর শিকার হলে?
সবার আগে হায়ার অথরিটিকে জানান: যখন বুঝতে পারবেন আপনি অফিস বুলিং এর শিকার হচ্ছেন তৎক্ষণাৎ প্রমাণ জোগাড় করতে শুরু করুন। তারপর সেটা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জানান। ছোটখাট জিনিসকেও অবজ্ঞা করবেন না। জানবেন ছোট থেকেই জিনিস বাড়তে থাকে।
রুখে দাঁড়ান: মনে রাখবেন আজকালকার দিনে কেউ কারও জন্য লড়ে না। নিজেরটা নিজেকেই বলতে হয়। তাই কোনও কিছুতে অস্বচ্ছন্দ্যবোধ করলে, পছন্দ না হলে স্পষ্ট করে বলুন। দৃঢ়তা রাখুন বক্তব্যে।
বন্ধু বানান: মূলত তাঁদেরকেই টার্গেট করা হয় যাঁরা অফিসে সদ্য জয়েন করেছে, বন্ধু নেই, পরিচিত নেই। তাই বন্ধু বানান, পরিচিতি বাড়ান। যেই মুহুর্তে আপনার পক্ষে কথা বলার জন্য লোক তৈরি হবে তখনই এই জিনিসগুলো দেখবেন কমতে থাকবে।
সাহায্য চান: অফিসে সবাই কিন্তু খারাপ নন। আপনি নিশ্চয় বুঝবেন কে আপনার জন্য ঠিক আর কে নয়। যখন বিপদের আঁচ পাবেন সাহায্য প্রার্থনা করুন। ছোটখাটো জিনিস থেকেই রুখে দাঁড়ান।