কোভিড সংক্রমণ কোথাও পিছু ছাড়ছে না। পৃছিবীর শেষ প্রান্তে আন্টার্কটিকা মহাদেশেও এই ভাইরাস বিপুল ভাবে ছড়াচ্ছে। এবং কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সে বিষয়টা এখনও চিকিৎসকদের কাছে পরিষ্কার নয়।
সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল বেলজিয়ামের শিবির। গত মাসের ১৪ তারিখ প্রথম এই শিবিরে একজনের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগেই তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে ওই শিবিরে পৌঁছেছিলেন। সেখানে আসার আগে প্রত্যেকের আরটিপিসিআর পরীক্ষা হয়। সকলেরই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তার পরে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে তাঁরা আন্টার্কটিকায় পৌঁছোন। তার ৭ দিন পরেই প্রথম জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
আক্রান্তকে সঙ্গে সঙ্গেই আইসোলেশনে পাঠানো হয়। যদিও তাতেও ভাইরাসটাকে ঠেকিয়ে রাখা যায়নি। এটা নিজের মতো ছড়াতে থাকে। দিন ১৫-র মধ্যেই শিবিরের অন্তত ১৬ জন আক্রান্ত হন। ২৫ জনের দলের সকলের শরীরেই ভাইরাস অল্পবিস্তর প্রবেশ করেছে বলে আশঙ্কা।
চিকিৎসকদের চিন্তায় ফেলেছে অন্য একটা বিষয়। ২৫ জনের দলের প্রত্যেকেরই ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই নেওয়া। একজনের বুস্টার ডোজও নেওয়া আছে। তার পরেও ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন প্রত্যেকে।
তবে আশার কথা, শিবিরের প্রত্যেকেরই উপসর্গ মৃদু। এবং চিকিৎসক জানিয়েছেন, খুব বেশি আশঙ্কাজনক নয় তাঁদের অবস্থা। তাঁদের বলা হয়েছিল, তাঁরা দেশে ফিরে যেতে চান কি না। কিন্তু প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত শারীরিক অবস্থা যেমন, তাতে তাঁরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন।
যত দিন না ২৫ জনের প্রত্যেকে সুস্থ হচ্ছেন, তত দিন নতুন দল আর ওই শিবিরে আসবে না। সুস্থ হয়ে এই দলটির প্রত্যেকে ফিরে গেলে, নতুন দল আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।