রেগে গেলে কি আপনি চিৎকার করেন? তার পরে কি খানিকটা হাল্কা লাগে? এর পিছনে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। বিজ্ঞান বলছে, চিৎকার করলে তার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ কিছুটা কমে যায়। মন হাল্কা হয়। কিন্তু এটাই একমাত্র গুণ নয়। চিৎকারের অনেক গুণ আছে। সেই কারণে হালে জনপ্রিয় হয়েছে ‘স্ক্রিম থেরাপি’ (Scream Therapy)।
প্রাণ খুলে চিৎকার করলে শরীরের অনেক লাভ হয়। এখান থেকেই নতুন একটি থেরাপির জন্ম হয়েছে। এর নাম ‘Primal Scream Therapy’। কাইনে ওয়েস্টের মতো নামজাদা শিল্পীও বলেছেন, তাঁর এই স্ক্রিম থেরাপির ওপর ভরসা রয়েছে।
তবে নামকরণটি যতই নতুন হোক না কেন, আসলে এই থেরাপি মোটেই খুব নতুন নয়। আদি যুগে চিনেও এই পদ্ধতিতে শরীরের নানা সমস্যা সারানোর কথা বলা হত। এখনও চিনে বহু মানুষ সাতসকালে অনেকে এক জায়গায় হাজির হয়ে প্রাণ খুলে চিৎকার করেন। Traditional Chinese Medicine (TMC) বলছে, এতে হৃদযন্ত্র এভং লিভারের উপকার হয়।
রোজ কয়েক মিনিট প্রাণ খুলে চিৎকার করলে কী কী উপকার হতে পারে? দেখে নেওয়া যাক:
- মানসিক চাপ কমে এর ফলে। এ বিষয়ে মনোবিদরা এক মত। সেই কারণেই যুদ্ধের আগে বহু যোদ্ধাই চিৎকার করতেন আদি যুগ থেকে। এতে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়। স্নায়ু খানিকটা ঠান্ডা হয়।
- চিৎকার করে হার্টের উপকার হয়। এই কারণেই ছোট শিশুরা না কাঁদলে তাদের চিৎকার করিয়ে কাঁদানো হয়। এতে তাদের হৃদযন্ত্র শক্তিশালী হয়। বড়দের ক্ষেত্রেও কথাটা সত্যি। তাঁরা যদি চিৎকার করেন, তাহলে হার্টের উপকার হয়। রক্তচাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- চিৎকার করার মধ্যে একটা মজাও রয়েছে। মনে আনন্দ না থাকলে জোরে চিৎকার করতে পারেন। তাতে আনন্দ ফিরে আসবে বা বাড়বে। এর কারণ চিৎকারের ফলে শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যেগুলো মনকে খুশি করে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে জোরে চিৎকারের ফলে।