একটি বিরাট সাদা হাঙরকে কাবু করার জন্য এক হাতই কাফি। হতেই পারে ওই হাঙরের ওজন ১,২০০-পাউন্ড, উচ্চতা ১২-ফুট। মনে জোর আর হাতে বল থাকলেই হবে। এমনটাই এদিন প্রমাণ করে দিয়েছেন ব্লেইন কেনি এবং তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার ডিলান ওয়েয়ার। সবচেয়ে বড় হাঙ্গর শিকার করার জন্য, আমেরিকায় ফ্লোরিডার পেনসাকোলা থেকে প্রায় ২৫ মাইল পূর্বে নাভারে বিচে পৌঁছেছিলেন তাঁরা।
কেনি কোস্টাল মূলত সারা বিশ্বব্যাপি হাঙ্গর মাছ ধরার আউটফিটার এবং পেনসাকোলায় ফিশিং ট্যুর গ্রুপ চালান। তাঁদের একটি বিখ্যাত ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। সেখানেই কেনি জানিয়েছেন তাঁদের এই দুঃসাহসিক অভিযানের কথা। হাঙর শিকারের প্রক্রিয়াটি প্রায় এক ঘন্টা সময় নিয়েছে, যখনই কেনি হাঙরটিকে টেনে আনার চেষ্টা করছিলেন, ততই মাছটি জলে ফিরে যাচ্ছিল।
সম্প্রতি, নিজের হাঙর শিকারের এই মুহূর্তটাই ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন কেনি। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একা হাতে বিরাট সাদা হাঙর শিকার করছেন কেনি। প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছেন উইয়ার।
একটি ড্রোনের সাহায্যে, উইয়ার কেনির লাইনে সাদা হাঙরটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন। প্ৰথমে অবশ্য লাইনে জোরে টান পড়তে দেখে তাঁদের মনে হয়েছিল, এটা কোনও সাদা দানব জাতীয় কিছু হবে। বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে সত্যিই হাঙর ধরা দেবে ছিপে। এরপর কেনি ধীরে ধীরে হাঙরটিকে তীরে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। উইয়ার খুশি হয়ে বলেন, 'আপনি করছেন, দোস্ত। হ্যাঁ, এটা একটা দানব, দোস্ত, এটা শুধু কোন সাদা হাঙর নয়।'
হাঙর শিকারের অগ্নিপরীক্ষার শেষের দিকে এক পর্যায়ে, কেনি ভেবেছিলেন হাঙ্গরটি হয়ত লাইন থেকে পিছলে গেছে। তাতে কিছুক্ষণের জন্য মন ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টার পরে বিশাল প্রাণীটিকে তিনি তীরে টেনে আনেন, কিন্তু যেহেতু এটি একটি গ্রেট হোয়াইট হাঙর ছিল, তাই উইয়ার বলেছিলেন যে এটিকে যত তাড়াতাড়ি জলে ছেড়ে দিতে হবে।
তাই, তীরে খুব বেশি সময় হাঙরটিকে আটকে রাখা হয়নি। এটিকে ধরার পর কেনি হাঙ্গরের মুখ থেকে হুক সরিয়ে ফেলেন, এবং প্রাণীটিকে আবার জলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই কেনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘মাছটি প্রচন্ড ছটফট করছিল, যখন এটি নড়ছিল, খুব ঝাঁকুনি লাগছিল। কিন্তু সত্যিই, সত্যিকার অর্থে এই মাছটির অনুভূতি এখানে বর্ণনা করা যায় না।'