উত্তরে অযোধ্যা থেকে পূর্বে গুয়াহাটি এবং পশ্চিমে ত্রিম্বকেশ্বর থেকে দক্ষিণে তিরুবনন্তপুরম পর্যন্ত - কেন্দ্র ৩০টি শহরের তালিকা বানিয়েছে। ধর্মীয়, ঐতিহাসিক এবং পর্যটন দৃষ্টিকোণ থেকে ওই শহরগুলিতে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক, বিশেষ করে মহিলা এবং শিশুদের উপর একটি সার্ভে করা হবে। এরপর কিছু সময়ের মধ্যেই এই হটস্পটগুলি চিহ্নিত করে ভিক্ষুক মুক্ত করবে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যেই এই স্থানগুলিকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে জেলা এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
কর্মকর্তাদের মতে দুই বছরের মধ্যে এই তালিকায় আরও শহর যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত মোট ৩০টি শহরে 'জীবিকা ও উদ্যোগের জন্য প্রান্তিক ব্যক্তিদের সহায়তা' (SMILE) এর একটি প্রকল্পের অধীনে এই সার্ভে করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, 'ভিক্ষা বৃত্তি মুক্ত ভারত' (ভিক্ষুক মুক্ত ভারত) গড়তে বিভিন্ন সমীক্ষা এবং নির্দেশিকা অনুসারে পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করতে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে একটি জাতীয় পোর্টাল এবং একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করবে। ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা তথ্যের রিয়েল-টাইম আপডেটের জন্য। এরপর সঠিক উপায়ে এই সার্ভে বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত শহরগুলির কর্তৃপক্ষকেও মোবাইল অ্যাপে আপডেট করতে হবে সমস্ত নথি।
- কোন কোন স্থান আপাতত ভিক্ষুক মুক্ত করা হবে?
আপাতত যে ১০টি ধর্মীয় স্থানে ভিক্ষুকদের উপর সার্ভে করার বিষয়টি ফোকাস করা হবে তার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা, কাংড়া, ওমকারেশ্বর, উজ্জয়িন, সোমনাথ, পাভাগড়, ত্রিম্বকেশ্বর, বোধগয়া, গুয়াহাটি এবং মাদুরাই। নগর প্রশাসনের পাশাপাশি নির্দেশিকা অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় ট্রাস্ট বা শ্রাইন বোর্ডও এই স্থানে ভিক্ষা করতে যাওয়া ব্যক্তিদের আটকাতে বাধ্য। এছাড়াও পর্যটন স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বিজয়ওয়াড়া, কেভাদিয়া, শ্রী নগর, নামসাই, কুশিনগর, সাঁচি, খাজুরাহো, জয়সলমের, তিরুবনন্তপুরম এবং পুদুচেরি। অমৃতসর, উদয়পুর, ওয়ারাঙ্গল, কটক, ইন্দোর, কোঝিকোড়, মাইসুরু, পঞ্চকুলা, সিমলা, তেজপুর ঐতিহাসিক শহরের তালিকায় রয়েছে।
৩০টি শহরের মধ্যে ২৫টি থেকে ইতিমধ্যেই একটি অ্যাকশন প্ল্যান গৃহীত হয়েছে এবং কাংড়া, কটক, উদয়পুর এবং কুশিনগর থেকে সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে। মজার বিষয় হল, সাঁচির কর্তৃপক্ষ মন্ত্রককে জানিয়েছে যে এই অঞ্চলে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিযুক্ত কোনও ব্যক্তি নেই। তাই একটি ভিন্ন শহর বিবেচনা করা যেতে পারে। ইতিমধ্যে কোঝিকোড়, বিজয়ওয়াড়া, মাদুরাই এবং মাইসুরু নিজেদের সমীক্ষা শেষ করেছে।
আধিকারিকদের মতে, প্রাথমিক তথ্য থেকে শুরু করে ভিক্ষার কারণ সম্পর্কিত প্রশ্নগুলি রয়েছে সমীক্ষায়। তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিতে চান কিনা কিংবা ভিক্ষা বাদে জীবিকার জন্য তাঁরা কী করতে চান, সবটাই ওই সমীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সঠিক নিয়মে কাজকর্মের জন্য আর্থিক সাহায্য দিতে এই মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নকারী জেলা এবং পৌর কর্তৃপক্ষকে তহবিলও দেবে বলে খবর।