বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > টুথপিক ব্যবহার করেন? কোন বিপদ ডেকে আনছেন, জানেন কি
টুথপিক ব্যবহার করে সাময়িকভাবে দাঁত পরিষ্কার হলেও, চিকিৎসকদের মতে দাঁতের দীর্ঘমেয়াদি যত্ন নিতে চাইলে অবশ্যই টুথপিক ব্যবহারের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে।
টুথপিক ব্যবহারে মূলত যে সমস্যাগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল:
- মাড়ির প্রদাহ: টুথপিক অসাবধানতাবশত ব্যবহার করলে তা ভেঙে গিয়ে মাড়িতে ঢুকে যেতে পারে। সঠিক সময়ে না বার করা হলে তা মাড়িতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। যা ভবিষ্যতে বিপজ্জনক হতে পারে।
- সংক্রমন হওয়ার আশঙ্কা: টুথপিকের ধারালো অংশ, মাড়িতে লেগে ক্ষত তৈরি করতে পারে। এই ক্ষতস্থানে ব্যকটিরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই ক্ষত স্থানের মধ্যে দিয়ে ব্যকটিরিয়া রক্তে ঢুকে রক্তকে দূষিত করতে পারে ,যাকে সেপ্টসেমিয়া বলে। যা প্রাণঘাতি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দাঁত ও মাড়ির রোগে রক্তপ্রবাহে ব্যাকটিরিয়া ছড়িয়ে পড়ে হার্টের ভালভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- চিকিৎসা করালে ফল নাও পেতে পারেন: দাঁতের চিকিৎসা যাঁরা করাচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই টুথপিক থেকে বিরত থাকা উচিত। না হলে দাঁতের চিকিৎসায় বিশেষ কিছু উপকার হবে না।
টুথপিকের পরিবর্তে যা ব্যবহার করা যেতে পারে:
টুথপিকের ব্যবহার যেহেতু মাড়ি বা দাঁতের পক্ষে ভালো নয়, সেই কারণে ডেন্টিস্টদের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁত পরিষ্কার করা উচিত।
যে তিনটি পদ্ধতির কথা বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সেই পদ্ধতিগুলি হল, ডেন্টাল ফ্লস (বিশেষ করে ওয়াক্সেড ফ্লাট ফ্লস), প্লাস্টিক হ্যান্ডেলড ফ্লস স্টিকস এবং ওয়াটারপিক।
ওয়াটারপিকে জলের উচ্চ চাপে দাঁতের খাদ্যাংশ ও অন্যান্য কণা বের করা হয়। সফট ফ্লসের ব্যবহার বা জলের চাপে দাঁত পরিষ্কার করলে মাড়ির টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না এবং প্রদাহ ও সংক্রমণের আশঙ্কাও নেই।
টুকিটাকি খবর