বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > জাঙ্ক ফুডে মত্ত শিশুরা, বিজ্ঞাপনে রাশ টানতে সুপারিশ করল WHO

জাঙ্ক ফুডে মত্ত শিশুরা, বিজ্ঞাপনে রাশ টানতে সুপারিশ করল WHO

জাঙ্ক ফুডে মত্ত শিশুরা, বিজ্ঞাপনের প্রভাব নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য সংস্থা (AP)

অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথায় প্রভাবিত হয়ে খাদ্যভাসে অস্বাস্থ্যকর খাবারকে জায়গা দিলে ভুগতে হবে নিজেকেই। খাদ্যাভাস নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাশ টানতে বলল বিজ্ঞাপনে।

 

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্যের জন্য এক উদ্বেগজনক বিষয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শিশুদের জন্য প্রস্তুত জাঙ্ক ফুড বিপণনের উপর বাধ্যতামূলক বিধিনিষেধের সুপারিশ করেছে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়াকে একটি ক্ষতিকর অভ্যাস বলে অভিহিত করেছে। কিন্তু ঠিক কী কী কারণে এই বিধিনিষেধ, কীভাবেই বা ক্ষতি করে জাঙ্ক ফুড, আসুন জেনে নিই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিজ্ঞাপন-বিপণন ব্যবস্থা শিশুদের খাদ্যতালিকাকে প্রভাবিত করে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিশুদের খাবার সংক্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত হয়। এই ধরনের বিপণন শিশুদের স্বাস্থ্যের অধিকার এবং শোষণ থেকে স্বাধীনতার অধিকারকে লঙ্ঘন করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশগুলিকে সব বয়সের শিশুদের সুরক্ষার জন্য ট্রান্স-ফ্যাট, চিনি এবং লবণ (এইচএফএসএস) যুক্ত খাবারের বাজারজাতকরণে বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করতে বলেছে। নির্দিষ্ট কিছু খাবারকে নিষিদ্ধ করতে এবং বাচ্চাদের প্ররোচিত করার জন্য বিজ্ঞাপনের ক্ষমতা, মাত্রা সীমিত করতে দেশগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে হু (WHO)।

সারা বিশ্বজুড়ে গবেষণা করে দেখা গেছে টেলিভিশন, ডিজিটাল মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য প্যাকেজিং এবং ক্রীড়া স্পনসরশিপের মাধ্যমে খাদ্য বিপণনকারীদের সংস্থাগুলির বিজ্ঞাপন দেখানো হয় দোকানে, স্কুল-কলেজে, রেস্টুরেন্টে এবং গণপরিবহনে সর্বত্র। খাদ্য বিপণন প্রধানত HFSS খাবার প্রচার করে। বিজ্ঞাপনগুলিতে সেলিব্রিটিদের অনুমোদন যেমন থাকে, তেমনই স্বাস্থ্যকর খাদ্য হবে দাবি করা হয় এগুলিকে। এছাড়াও গেমস, অ্যানিমেশন এবং বাচ্চাদের কণ্ঠের ব্যবহারে শিশু ও তাদের অভিভাবকরা বহুগুণ প্রভাবিত হয়। বাচ্চারা টিভি বিজ্ঞাপন দেখতে যত বেশি সময় ব্যয় করবে, পরবর্তী জীবনে দাঁতের ক্ষয় এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা তত বেশি হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব এই জাঙ্ক ফুডের রমরমা বাজারের? WHO-এর মতে, বিপণনে বিধিনিষেধ যেমন আনতে হবে, তেমনই তাজা পণ্যের প্রাপ্যতার দিকেও নজর দিতে হবে। ইউরোপ, আমেরিকাতে জাঙ্ক ফুডের রমরমা বাজার আজ ভারতের খাদ্যাভাসকেও গ্রাস করেছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন প্রি-ডায়াবেটিক বা ডায়াবেটিক ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৪০ শতাংশ ভারতীয় পেটের স্থূলতার কথা স্বীকার করেছেন। ভারতের অধিকাংশ প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারেই অধিক চিনি, ফ্যাট ইত্যাদির পরিমাণ লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষকেই এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে বলে মন করছে বিশেষজ্ঞ মহল। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কথায় প্রভাবিত হয়ে খাদ্যভাসে অস্বাস্থ্যকর খাবারকে জায়গা দিলে ভুগতে হবে নিজেকেই। 

বন্ধ করুন