আর একটু দেরি করে ফেললেই হাতছাড়া হয়ে যেতে পারত সরকরি প্রকল্পের বড় অংকের আর্থিক সুবিধা। তাই সাত পাঁচ না ভেবে ছোট বোনের স্বামীর গলাতেই মালা দিলেন মহিলা।উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে ঘটেছে এই অদ্ভুত ঘটনাটি। এক গণবিবাহ অনুষ্ঠানে ওই মহিলা নিজের বোনের স্বামীকে বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, তিনি একটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দাবি করার জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন। গণবিবাহে গিয়ে বোনের স্বামীকেই কেন বিয়ে করলেন, অন্যান্য পুরুষও তো উপস্থিত ছিলেন সেখানে। উঠছে প্রশ্ন।
তারই উত্তর দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, যে পুরুষের সঙ্গে হবু কনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, তিনি নাকি বিয়ের স্থানে সময় মতো না এসে পৌঁছোনোর জন্য ওই নারী তাঁর বোনের স্বামীকে বিয়ে করেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিবারের সম্মতিতেই নাকি খুশি নামে হবু কনে গণবিবাহে অংশ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী গণবিবাহ প্রকল্পের সুবিধা পেতে তাঁর বোনের স্বামীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলেই জানানো হয়েছে।
- কী কী সুবিধা মেলে গণবিবাহ প্রকল্পে
খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে একটি গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে মোট ১২ জন দম্পতি বিয়ে করেছিলেন। এটি উল্লেখযোগ্য যে মুখ্যমন্ত্রী গণবিবাহ প্রকল্পের অধীনে, প্রত্যেক দম্পতিকে ৫১,০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। যার মধ্যে ৩৫,০০০ টাকা কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে বলেও নিয়ম চালু রয়েছে। এছাড়াও দম্পতিকে উপহার দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকা এবং অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আরও ৬,০০০ টাকা দেওয়া হয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরে, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক ললিতা যাদব বলেছেন যে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং যদি পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই দোষী প্রমাণিত হন, তবে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরও বলা হয়েছে যে খুশি এরইমধ্যে সমস্ত উপহার এবং অন্যান্য সামগ্রী সরকারকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
এই প্রথমবার নয় যে ইউপিতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে মানুষ নকল বিয়ে করে অনেকবারই ধরা পড়েছেন। এর আগে, একটি গণবিবাহের ভিডিয়ো ইন্টারনেটে তুমুল ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে বেশ কয়েকটি কনেকে নিজেদের মধ্যে মালা পরাতে দেখা গিয়েছিল। ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরই অবশ্য তদন্ত শুরু করা হয়েছিল সরকারের নির্দেশে। এরপেই, তদন্তে জানা গিয়েছিল যে ২৫ জানুয়ারী ইউপির বালিয়া জেলার মানিয়ার ইন্টার কলেজে এই গণবিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল।