মুখ পরিষ্কার রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট অনুসরণ করে থাকেন। তবে কিছু মহিলা আছেন যারা প্রতি মাসে ক্লিনআপ এবং ফেসিয়াল করেন। আবার কেউ কেউ ফারাকই করতে পারেন না ফেসিয়াল এবং ক্লিনআপের মধ্যে। আপনিও যদি এই দলেই পড়েন তাহলে আপনাকে বলে দেই, ফেসিয়াল এবং ক্লিনআপ দুটি ভিন্ন বিউটি ট্রিটমেন্ট। আর দুটোরই আলাদা আলাদা সুবিধা রয়েছে। তাই চলুন আগে জেনে নেই এই দুটোর পার্থক্য কী এবং আমাদের ত্বককে কীভাবে সাহায্য করে--
ফেসিয়াল কী?
মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সতেজ চেহারা পেতে সাধারণত ফেসিয়াল করা হয়ে থাকে। ফেসিয়াল একটি প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক তবে এটি করার অনেক উপায় রয়েছে ও অনেক ধাপও রয়েছে, যা আপনার ত্বকের ধরণ, বয়স, কীরকম প্রভাব আপনি চাইছেন সেগুলোর উপর নির্ভর করে করা হয়ে থাকে।
ক্লিনজিং কী?
ক্লিনআপ বা ক্লিনজিংও সৌন্দর্য প্রক্রিয়ারই অন্তর্ভুক্ত। যা ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়ক মনে করা হয়। এবং এটি নিয়মিত করলে ফুসকুরি, ব্রণ বা ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কম দেখা দেয়। সাধারণত ১৫ দিনে একবার ক্লিনআপ করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যেও ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং এবং স্টিম দেওয়া হয়। এটি ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়, যেখানে ফেসিয়াল করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।
দুটোর পার্থক্য
১) ক্লিনআপের ক্ষেত্রে ফেস ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক ব্যবহার করা হয় না।
২) ফেসিয়াল সময় সাপেক্ষ হলেও বেশি উপকারী। তবে মাসে ১ বার ফেসিয়াল করতে পারেন। সেখানে মাসে দু'বার করা যায় ক্নিনআপ।
৩) ক্লিনআপের থেকে ফেসিয়ালে কিছু স্টেপ বেশি থাকে। যদি আপনি ঘরেই ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, স্টিম নিতে পারেন তাহলে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করালেই চলবে।
উপকারিতা
ডিপ ক্লিনআপ ত্বকের মরা কোষ দূর করে। সঙ্গে ওপেন পোরস, ব্ল্যাক হেডস, হোয়াইট হেডসের মতো সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে।
অন্য দিকে, ফেসিয়ালে ক্লিনজিংয়ের ধাপগুলো ছাড়াও ফেস ম্যাসাজ ও ফেস প্যাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফেস ম্যাসাজ ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর ফেস প্যাক ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ব্যবহার করার ফলে এটি আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়।