রায়পুরের চাঁদখুরি অঞ্চলে মাতা কৌশল্যা মন্দির নির্মাণের ঘোষণা আগেই হয়েছিল, এবার লব-কুশের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত তুরতুরিয়ার মহর্ষি বাল্মিকী আশ্রমকে তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল।
সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ছত্তিশগড় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আশ্রমটি পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এবং বর্ণাভপুর বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ কেন্দ্র সংলগ্ন। নারায়ণপুরের কাছে মহানদী এবং বলমাদেহী নদীর নৈসর্গিক উন্নতিসাধন প্রকল্পের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। এই সব জায়গায় কটেজ তৈরি করা হবে। তুরতুরিয়ার কাছে একটি এক হাজার বছরের প্রাচীন শিবমন্দির রয়েছে, যা এই প্রকল্পের অধীনে পর্যটক সমাগমের জন্য সংস্কার করা হবে। তুরতুরিয়ার জঙ্গলে নির্বাসনের কিছু কাল কাটিয়েছিলেন রামচন্দ্র এবং মনে করা হয় এই আশ্রমেই তাঁর দুই যমজ ছেলে লব ও কুশের জন্ম হয়। তুরতুরিয়াকে প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।’
রায়পুর জেলার চাঁদখুরির পাশাপাশি ছত্তিশগড় সরকারের ১৩৭.৪৫ কোটি টাকার রাম বন গমন পর্যটন পরিপথ প্রকল্পের অধীনে তুরতুরিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রথম দফায় নয়টি জায়গার উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়ন হবে। এই রকম মোট ৭৫টি স্থান নির্বাচন করা হয়েছে, দক্ষিণ ভারতে প্রবেশের আগে যে সব জায়গায় রাম বনবাসে থাকার সময় এসেছিলেন বলে জনশ্রুতি।
নির্বাচিত স্থানের তালিকায় রয়েছে সীতামাঢ়ি-হরচৌকা (কোরিয়া), রামগড় (অম্বিকাপুর), শিউরিনারায়ণ (জাঁজগির-চম্পা), তুরতুরিয়া (বলদাবাজার), চাঁদখুরি (রায়পুর), রাজিম (গরিবন্দ), শিহাবা সপ্তঋষি আশ্রম (ধামতারি), জগদলপুর (বস্তার) ও রামারাম (সুকমা)।