আগেও চিনকে বিস্তারবাদী বলে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার নাম না করে কটাক্ষ করলেন, মানসিক সমস্যায় জর্জরিত চিন।
দীপাবলি উপলক্ষ্যে শনিবার জয়সলমিরের লোঙ্গেওয়ালা সেনা ছাউনিতে যান মোদী। সেখানে নাম না করেন তিনি বলেন, ‘আজ সারা বিশ্বকে তিতিবিরক্ত করে তুলেছে বিস্তারবাদী শক্তিগুলি। একদিক দিয়ে বিস্তারবাদ হল মানসিক সমস্যা এবং তা অষ্টাদশ শতকের চিন্তাভাবনা। এই চিন্তাভাবনার বিরুদ্ধে ক্রমশ নিজেদের সুর চড়াচ্ছে ভারত।’
মোদীর জমানায় আগেও চিনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছিল ভারত। প্রায় আড়াই মাস চলেছিল ডোকলাম-পর্ব। কিন্তু সেই সংঘাতের থেকেও বেশিদিন ধরে চলছে লাদাখ-দ্বন্দ্ব। গত মে'তে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংঘাত শুরু হয়েছে। সাত মাস হতে চললেও তা এখনও উত্তেজনা প্রশমিত হয়নি। ভারত এবং চিন একাধিকবার সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে বসলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। বরং বৈঠকে মৌখিকভাবে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েও সীমান্তে আগ্রাসী মনোভাব নিয়েছে বেজিং। সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেই গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার উপর হামলা চালিয়েছিল চিন। তাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। বেজিংয়ের তরফে হতাহতের সংখ্যা নিয়ে মুখ খোলা না হলেও ভালোমতোই চিনা সেনার মুখ পুড়েছিল। তারপরও একতরফাভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছিল চিনা সেনা। ভারতীয় সেনার সতর্কতায় সেই চেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি।
সম্প্রতি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানায়, প্যাংগং সো লেকের এলাকা থেকে ধাপে ধাপে সেনা সরানোর বিষয়ে রাজি হয়েছে ভারত এবং চিন। গত এপ্রিল-মে'তে যে জায়গায় দু'দেশের সেনা ছিল, সেই জায়গা পর্যন্ত পিছু হটে যাবে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। যদিও চিনের সরকারি 'গ্লোবাল টাইমস’ জানিয়েছে, প্যাংগং সো লেকের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে প্রথমে ভারতীয় সেনা সরে যাবে বলে ঠিক হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে অবশ্য মুখ খোলা হয়নি।