অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য় বিচারবিভাগীয় চাকরি ও আইন কলেজে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল বিহার সরকার। বিহারে জাতিভিত্তিক সমীক্ষা হয়েছে সদ্যই। এরপরই এই সিদ্ধান্ত। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমারের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার মিটিংয়ে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সিদ্ধার্থকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, স্টেট জুডিসিয়াল সার্ভিসেস ১৯৫১-এর ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। জুডিশিয়াল সার্ভিসেসের ক্ষেত্রে ও রাজ্য সরকার পরিচালিত আইন সংক্রান্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০শতাংশ রিজার্ভেশন করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এনিয়ে বিস্তারিত নোটিফিকেশন শীঘ্রই আসবে।
পরিসংখ্যান বলছে বিহারে বর্তমানে সবথেকে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় রয়েছে ৩৬.০১ শতাংশ। এর সঙ্গেই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় রয়েছে ২৭.১২ শতাংশ।
এদিকে বিহারে জাতি ভিত্তিক সমীক্ষা নিয়ে নানা রাজনৈতিক চাপানউতোর চলেছে পুরোদমে। তবে এবার পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষণ করে কার্যত বড় পদক্ষেপ নিল বিহার সরকার।
অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এস সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ১০০টি মতো পশু হাসপাতাল তৈরি করা হবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই হাসপাতালের প্রশিক্ষণকেন্দ্রও থাকবে। ১৭টি জেলায় এজন্য ২২৫ কোটি টাকা খরচ করা হবে।
সেই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ৩০টি অতিরিক্ত ক্লার্ক পোস্ট করা হচ্ছে। ক্রেতা সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই এবার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে দিল বিহার সরকার। বলা ভালো আখেরে এতে লাভ হবে সাধারণ মানুষেরই।