অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডল। একসময় বীরভূমে তাঁর নাম শুনলে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত। পুলিশকেও বোমা মারার হুমকি দিতেন তিনি। বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ হত গুড় বাতাসা, চড়াম চড়াম দাওয়াই। এবার সেই কেষ্ট মণ্ডলের ১১ কোটির সম্পত্তির হিসেব দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউয়ের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। স্থাবর, অস্থাবর মিলিয়ে অনুব্রতর এই বিপুল সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু এবার প্রশ্ন এত সম্পত্তি কীভাবে করলেন অনুব্রত? কোথা থেকে এত টাকা পেলেন? স্থানীয় সূত্রে খবর, একটা সময়ে বাজারে মাছ বেচতেন অনুব্রত। আর ধ্যান জ্ঞান ছিল তৃণমূল। ধমকে চমকে দলের নজর কাড়েন তিনি। আর সেই অনুব্রতর সম্পত্তির পরিমাণ জানলে একেবারে চোখ কপালে উঠবে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, এই বিপুল সম্পত্তি কার্যত জলের দরে কিনেছিলেন অনুব্রত। বলা ভালো হাতিয়ে নিয়েছিলেন এই সব সম্পত্তি। আর বীরভূমে অনুব্রতর মুখের উপর কথা বলার সাহস অনেকেরই নেই।
সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে একেবারে সস্তায় সম্পত্তি হস্তগত করতেন অনুব্রত। নামে,বেনামে এই সম্পত্তি কেনা হত। আসলে ধমকে, চমকে কিছু সম্পত্তি কেনা হয়েছিল। আবার কিছু সম্পত্তি অত্যন্ত কৌশলে আদায় করতেন অনুব্রত। এনিয়ে কেউ কিছু আপত্তি জানালেই ঝাঁপিয়ে পড়তেন অনুব্রতর সাঙ্গপাঙ্গরা। তাঁর দাপটে টু শব্দটি করার উপায় ছিল না।
হিসেব বলছে ২৫ লক্ষ টাকার সম্পত্তি ৬ লক্ষ টাকায় আদায় করেছেন অনুব্রত। এমন নজিরও রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, যে ১১ কোটি টাকার সম্পত্তির কথা বলা হচ্ছে সেটা যে টাকায় কেনা হয়েছিল তার হিসেব। কিন্তু বাস্তবে তার বাজার দর অনেকটাই বেশি। সেটা প্রায় ১৭ কোটি হয়ে যেতে পারে। তবে শুধু অনুব্রতই নন, তাঁর একসময়ের দেহরক্ষী সেহগাল হোসেনের সম্পত্তির পরিমাণও চমকে দেওয়ার মতো। কিন্তু তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীর এত সম্পত্তি হয় কীভাবে?
সূত্রের খবর, শুধু নেতার দেহরক্ষী হওয়ার সুবাদেই এলাকায় সেহেগালের দাপট কিছু কম ছিল না।