‘সংসদ রত্ন পুরস্কার ২০২৩’-এর জন্য মনোনীত করা হল অধীর চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার-সহ ১৩ জন সাংসদকে। এই ১৩ জনের মধ্যে আটজন লোকসভার এবং পাঁচজন রাজ্যসভার। এই সাংসদের মধ্যে তিন আবার অবসরপ্রাপ্ত। এ ছাড়া ২টি সংসদীয় কমিটির সদস্য ও একজন সাংসদকে সারা জীবনের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কৃত করা হল।
২০১০ সালে চেন্নাইয়ে প্রথম এই পুরষ্কার দেওয়া শুরু করেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম। তারই পরামর্শে সরকারি ভাবে সংসদ রত্ন পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৯০ জন সংসাদকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের সভাপতিত্বে এবং ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস কৃষ্ণমূর্তি সহসভাপতিত্বে, বিশিষ্ট সাংসদ ও সমাজের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে গঠিত এক জুরি কমিটি এই পুরস্কারপ্রাপকদের মনোনীত করেছে। বাংলা থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরী এবং সুকান্ত মজুমদার ছাড়া জুরি মনোনীত সাংসদের মধ্যে রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ বিদ্যুৎ বরণ মাহতো, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হিনা গাবিত, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ গোপাল চিনায়া শেঠি, মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সুধীর গুপ্তা, মহারাষ্ট্রের এনসিপি সাংসদ অমল রামসিং কোলহে, আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ কুলদীপ রাই শর্মা, সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ জন ব্রিটাস, আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ ঝা, এনসিপি রাজ্যসভার সাংসদ ফৌজিয়া তাহসিন আহমেদ খান, সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ বিশম্ভর নিশাদ এবং কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ছায়া ভার্মা।
কী ভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে পুরস্কার প্রাপকদের?
১৭তম লোকসভার শুরু থেকে ২০২২ সালের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ পর্যন্ত করা প্রশ্ন, সদস্যদের আনা বিল এবং সংসদে বিভিন্ন বিতর্কে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে তাঁদের বেছে নেওয়া হয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভা সচিবালয় থেকে সাংসদদের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জন ব্রিটাস, মনোজ ঝা এবং ফৌজিয়া তাহসিন আহমেদ খানকে রাজ্যসভায় তাঁদের ভূমিকার জন্য ‘বর্তমান সদস্য’ বিভাগে বেছে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বিশম্ভর প্রসাদ নিশাদ এবং ছায়া ভার্মা মনোনীত হয়েছেন তাঁদের মেয়াদকালে অসামান্য ভূমিকার জন্য ‘অবসরপ্রাপ্ত রাজ্যসভা সাংসদ’ বিভাগে। জয়ন্ত সিনহার সভাপতিত্বে অর্থ বিষয়ক লোকসভা কমিটি এবং ভি বিজয়সাই রেড্ডির নেতৃত্বে পরিবহন, পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক রাজ্যসভা কমিটিকে তাদের অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য পুরস্কৃত করা হচ্ছে।
এছাড়া, দুটি মেয়াদে রাজ্যসভা সাংসদ থাকা প্রবীণ সিপিআইএম নেতা টি কে রঙ্গরাজনকে, সাংসদ হিসেবে তাঁর সারাজীবনের অবদানের জন্য 'এপিজে কালাম লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হচ্ছে।