ভয়াবহ সংঘর্ষ। পঞ্চায়েতের সালিশি সভায় একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও ৮জন গুরুতর জখম হয়েছেন। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজুর জেলার ঘটনা। ঠিক কোন বিরোধকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর স্থানীয় এক তরুণী এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনি কিছু রুপোর গয়না নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটাও প্রায় ১ বছর আগের ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে তা নিয়েই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারপিট বেঁধে যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর ২০ বছর বয়সী মাধো ভুদারিয়া ও ২১ বছর বয়সী লিলা গুলিয়া বাকোদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দুজনে বিয়ে করার জন্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে লীলা সঙ্গে করে ১ কেজি ওজনের মায়ের রুপোর গহনা নিয়ে গিয়েছিলেন। জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মনোজ সিং। এদিকে আদিবাসী প্রথায় আদিবাসী যুবক ও যুবতী গ্রাম্য মেলায় তাদের সঙ্গী পছন্দ করতে পারেন। সেই অনুসারে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই দুজন। এরপর সামাজিকভাবে তা মান্যতা দেওয়ার জন্য গ্রামে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়।এটাই চিরাচরিত প্রথা।
এদিকে ২০২০ সালে জুন মাসে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই মেয়েকে রুপোর গহনা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বাড়ি থেকে বলা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি তা দিতে চাননি। এরপরই পঞ্চায়েতের সালিশি সভা বসে। আদিবাসী মতে ছেলের পরিবারকেও মেয়ের পরিবারের কাছে টাকা দেওয়ার প্রথা রয়েছে। এদিকে সেই সভাতেই আদিবাসী প্রথা ভাঙা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। লাঠি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাধোর দুই ভাইপো, লীলার দাদু ও কাকার মৃত্যু হয়েছে।