বেআইনিভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন চক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। কিডনি সহ মানব দেহের বিভিন্ন অঙ্গ অবৈধভাবে বিক্রি এবং প্রতিস্থাপনের অভিযোগ বাংলাদেশের ৫ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে গুরুগ্রাম পুলিশ। হরিয়ানা এবং রাজস্থানে মানব অঙ্গ পাচারের তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জন গ্রহীতা এবং দু’জন হলেন দাতা। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এই চক্রের মূল পান্ডার খোঁজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ বাবাকে কিডনি দান, নজির তৈরি লালুপ্রসাদের মেয়ের, প্রশংসায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
জানা গিয়েছে, কিডনি বিক্রির জন্য দাতাদের ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাদের রাখা হয়েছিল গুরুগ্রামের সেক্টর ৩৯-এর একটি হোটেলে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, একজন বাংলাদেশি নাগরিকের একটি কিডনি নেওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। এরপর সুস্থ হওয়ার জন্য গুরুগ্রামের ওই হোটেলে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এভাবেই কিডনি বিক্রি করে অস্ত্রোপচারের পরে গুরুগ্রামের ওই গেস্ট হাউসে গ্রহীতা এবং দাতা উভয়কে রাখত এই চক্র। ধৃতদের নাম হল-কবির এমডি আহসানুল (৩১), নুরুল ইসলাম (৫৬), মাহমুদ সৈয়দ আকব (২৫) এবং দাতা শামীম মেহেন্দি হাসান (৩৪) ও হোসেন এমডি আজাদ (৩০)।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, এই চক্রের মূল পান্ডার নাম হল মহম্মদ মুর্তজা আনসারি। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জয়পুরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে অর্থের বিনিময়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অবশ্য এই দুটি বেসরকারি হাসপাতালের পর্দা ফাঁস আগেই হয়েছিল।
গুরুগ্রাম সদর থানার এসএইচও অর্জুন ধুন্ধরা গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পেশ করা হলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানা ও রাজস্থানে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চক্র ফাঁস হওয়ার ১০ দিন পর এই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল গুরুগ্রাম পুলিশ সিএম ফ্লাইং স্কোয়াড এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি যৌথ দলের সঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে জয়পুরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালে অর্থের জন্য কিডনি প্রতিস্থাপন করানোর বিষয়টির পর্দা ফাঁস করেছিল। আর এবার এই ৫ জনকে গ্রেফতার করা হল।