একটি বিড়ালকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল ৫ জনের। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে। বিড়ালকে বাঁচানোর জন্য একটি পরিতক্ত কুয়োয় একের পর এক ঝাঁপ দিয়েছিলেন ওই ৫ জন। তাতেই তাদের করুণ পরিণতি হল। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন পরে গিয়েছে মহারাষ্ট্রে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষাক্ত গ্যাসে দম বন্ধ হয়ে ৫ জন মারা গিয়েছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতরা একই পরিবারের সদস্য বলে খবর।
আরও পড়ুন: পোষ্য বিড়ালকে ধরতে গিয়ে ৮ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু যুবতীর
জানা যাচ্ছে, গভীর রাতে ওই কুয়োয় বিড়ালকে পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল কুয়োটি। সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছিল। যার কারণে তাতে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, সেবিষয়ে কোনও ধারণায় ছিল না ওই পরিবারের। তারা বিড়ালকে বাঁচানোর জন্য কুয়োয় নামার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে একজন কুয়োয় নামেন। কিন্তু, তিনি আর কুয়ো থেকে উঠে আসেননি। তখন অন্য একজন কুয়োয় নামেন। কিন্তু, তিনিও উঠে না আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েন বাকিরা। এরপর এভাবেই আরও ৩ জন কুয়োয় নামেন। কিন্তু, কেউই কুয়ো থেকে উঠে আসেননি।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেয়। পাশাপাশি উদ্ধারকারী দলও সেখানে পৌঁছয়। এরপর একে একে কুয়ো ৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, মোট ৬ জন কুয়োয় নেমেছিলেন। তারমধ্যে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার সম্ভব হয়েছে। তাঁর কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়োয় নেমেছিলেন। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভরতি করা হয়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম হল- মানিক গোবিন্দ কালে, সন্দীপ মানিক কালে, বাবলু অনিল কালে, অনিল বাপুরাও কালে এবং বাবাসাহেব গায়কওয়াড়।
নেভাসা থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ধনঞ্জয় যাদব বলেন, ‘পরপর ৫ জন কুয়োয় নেমেছিলেন। কিন্তু, কেউই জীবিত অবস্থায় উঠে আসেননি।’ তিনি আরও জানান, যে ব্যক্তি কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়োয় প্রবেশ করেছিলেন তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই ব্যক্তির নাম বিজয় মানিক। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনাস্থলে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, উদ্ধারকারী দলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। সকলকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে ৫ ঘণ্টা সময় লেগেছে। সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের অভিযোগ, উদ্ধারকাজ শেষ হতে অনেকে বেশি সময় নিয়েছে উদ্ধারকারী দল।