মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ শুক্রবার জনসন অ্যান্ড জনসনকে কয়েক কোটি টিকার ডোজে ফেলে দিতে বলল। নিউইয়র্ক টাইমস অনুযায়ী জনসন অ্যান্ড জনসনকে ৬ কোটি টিকা ফেলে দিতে বলা হয়েছে এফডিএ-র তরফে। পাশাপাশি জনসন অ্যান্ড জনসনের দুই ব্যাচের ১ কোটি টিকাকে প্রয়োগের জন্য অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
একবি বিবৃতিতে মার্কিন এফডিএ জানিয়েছে যে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের প্ল্যান্টে উৎপাদিত টিকাকে এখনই অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। এর আগে এপ্রিল মাসে জনসন অ্যান্ড জনসন বাল্টিমোর সাইটে টিকার উৎপাদন বন্ধ করেছিল এফডিএ। কারণ সেই একই সাইটে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার উপরকরণের উৎপাদন চলছিল। যার জেরে জনসনের টিকার ডোজের সেই ব্যাচে অপ্রয়োজনীয় উপকরণ মিশে তা নষ্ট করে দিয়েছিল।
এদিকে কয়েকদিন আগে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে জানানো হয়, ফিলাডেলফিয়াতে মজুত থাকা জনসন অ্যান্ড জনসনের ৪২ হাজার ডোজের মেয়াদ শেষের পথে। এছাড়া পেনসিলভেনিয়া, ওহাও, ওকলাহোমা, আরকানসাসেও প্রচুর টিকার ডোজ মজুত রয়েছে যেগুলির মেয়াদও শীঘ্রই শেষ হবে। যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের ২ কোটি ১৪ লাখ ডোজের মাত্র অর্ধেক ডোজ জনগণকে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতমাসে ইমারজেন্ট বায়োসলিউশন ইনকর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রবার্ট ক্রেমার জানিয়েছিলেন যে জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রায় ১০ কোটি টিকা এফডিএ-র রিভিউয়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এই টিকার অধিকাংশ রফতানির জন্য রাখা রয়েছে বলা জানা গিয়েছে। সেগুলি ইতিমধ্যেই শিশিতে ভরা রয়েছে। তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার মান নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছে। এই পরিস্থিতিতে এফডিএ-র বক্তব্য, ইমারজেন্ট এবং জনসন অ্যান্ড জনসনকে টিকা সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে যা এফডিএ সেদেশগুলিকে পাঠাতে পরাবে যেখানে এই টিকার রফতানি হওয়ার কথা।