করোনাভাইরাসের জেরে স্থগিত ছিল তিন দফার ডিয়ারনেন্স অ্যালোয়েন্স (ডিএ)। মাসকয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ ১১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে অবসর নিয়েছেন, তাঁদের গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের ক্ষেত্রে কি বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে না? দীর্ঘদিনেই সেই ধোঁয়াশা কাটাল কেন্দ্র।
গত বুধবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে যে সরকারি কর্মচারীরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের জন্য ১৭ শতাংশ ডিএ কার্যকর হবে না। বরং ওই দেড় বছরকে তিন ভাগে ভাগ করে সরকারি কর্মীদের ডিএয়ের হিসাব করা হবে। তার ভিত্তিতে তাঁরা গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের সুযোগ পাবেন।
এমনিতে গত বছরের জানুয়ারির আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ১৭ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। যাঁরা গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে অবসর নিয়েছেন, তাঁদের গ্র্যাচুইটি এবং লিভ এনক্যাশমেন্টের জন্য ২১ শতাংশ ডিএ ধরা হবে। অর্থাৎ সেই সময় প্রাপ্য ১৭ শতাংশ ডিএয়ের সঙ্গে চার শতাংশ বাড়তি ডিএ যোগ করা হয়েছে। একইভাবে গত বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের ডিএ হিসাব করা হয়েছে।
কোনও সময় অবসর গ্রহণ করলে কত হারে ডিএ ধরা হবে?
১) ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী : বেসিক পে'র ২১ শতাংশ।
২) ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী : বেসিক পে'র ২৪ শতাংশ।
২) ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী : বেসিক পে'র ২৮ শতাংশ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বেড়েছে। সেইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদেরও ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বাড়ানো হয়েছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে তাঁরা ২৮ শতাংশ ডিএ বা ডিআর পাবেন। তার আগে গত বছরের জানুয়ারি, জুলাই এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ স্থগিত ছিল।