মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। মোবাইলের ডেটা প্যাক রিচার্জ করে না দেওয়ায় আত্মঘাতী হল এক কিশোর। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে নবীন প্রজন্মের মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রতি আসক্তি নিয়ে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ বছর বয়সের ওই কিশোরের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব বেশি ভাল ছিল না। কোনওভাবে দিনমজুরির কাজ করে সংসার চালান তার বাবা। স্থানীয়দের দাবি, ওই কিশোর সারাক্ষণ মোবাইলে অনলাইনে গেম খেলতে ব্যস্ত থাকত। গেমের প্রতি তারা এতটাই আসক্তি চলে এসেছিল যে গেম ছাড়া অন্য কিছুই ভালোবাসত না ওই কিশোর। প্রতিদিন সে রাত জেগে গেম খেলত। কিন্তু, অনলাইনে গেম খেলার জন্য মোবাইলে ডেটা প্যাক প্রয়োজন। আর সেই প্যাক শেষ হতেই ঘটে বিপত্তি।
ডেটা প্যাক রিচার্জের জন্য রীতিমতো বাবার সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের মধ্যে বচসা চলছিল। কিন্তু, কিশোরের বাবা তাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তার পক্ষে এখনই রিচার্জ করে দেওয়া সম্ভব নয়। আর সেই অশান্তির জেরে মঙ্গলবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোর।
অনেক ডাকাডাকির করার পরেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। তবে একই সঙ্গে মোবাইল এবং ইন্টারনেটের প্রতি নবীন প্রজন্মের আসক্তি যে কতটা পরিমাণে রয়েছে তাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতিতে ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচিতি বেড়েছে। যার ফলে তারা ধীরে ধীরে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই অবস্থায় মনোবিদদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।