এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বিমানযাত্রীরা। ফ্লাইটে চড়ার সময় এক পাকিস্তানি ব্যক্তি তাঁর সহযাত্রীদের কাছে অর্থ সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, নিজের জন্য নয়, দেশ-দশের জন্য এই ভিক্ষা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি ভিক্ষুক নন, মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য অনুদান চাইছিলেন।
সাম্প্রতিক কালে এমনই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে, যেখানে একজন পাকিস্তানি ব্যক্তি বিমানযাত্রার সময় সহযাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ অনুদানের জন্য আবেদন করছেন, তা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লোকটি জোর দিয়ে বলেন যে তিনি ভিক্ষা করছেন না, লাহোরের একটি মাদ্রাসার জন্য তহবিল সংগ্রহ করছেন। কিন্তু তাঁর এমন পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ অনেককেই বিব্রত করে।
টুইটারে শেয়ার করা ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে যে লোকটি সাদা কুর্তা পায়জামা এবং একটি নীল রঙা কোট পরা। বিমানের মাঝে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহায়তার অনুরোধ করে আবেগঘন বক্তব্য রাখছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি ভিক্ষুক নন, মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য অনুদান চাইছেন। তিনি সহযাত্রীদের আশ্বস্ত করেন যে তাঁদের আসন ছাড়তে হবে না, কেউ যদি সাহায্য করতে চান, তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের কাছে পৌঁছে যাবেন।
নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয় বিমানযাত্রার পথে পাকিস্তানি ব্যক্তির ‘ভিক্ষা’র ভিডিয়োটি। ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘একজন পাকিস্তানি ব্যক্তিকে ফ্লাইটে ভিক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলছেন, আমি ভিখারি নই, পাকিস্তানে মাদ্রাসা তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন মাত্র।’ যাইহোক, বেশ কয়েকজন মন্তব্যকারী এই দাবির বিরোধিতা করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন ওই লোকটি আসলে ‘লাহোর দা পাওয়া - আখতার লওয়া’ নামে পরিচিত একজন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা।
কিছু মানুষের মতে, জনসাধারণের অনুরোধে শুধুমাত্র বিনোদনের উদ্দেশ্যে এমন অভিনয় করেছেন তিনি। জনৈক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন যে, ‘এই ব্যক্তি একজন বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা ‘লাহোর দা পাওয়া’, যিনি জনসাধারণের অনুরোধে অভিনয় করছেন।
ভিডিয়োতে আখতার লওয়া নামে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। তিনি অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া এবং টিভি চ্যানেলগুলিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। লাওয়া তাঁর নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর কট্টর সমর্থক বলেও পরিচিত।
ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় রেকর্ড পরিমানে ছড়িয়ে পড়ে, এখন পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি ভিউ হয়েছে সেটির। তবে এই ভিডিয়োটির রেকর্ডিংয়ের তারিখ জানা যায়নি, এবং এটি এখনও সঠিক ভাবে বোঝা যায়নি যে লোকটি আসলেই বিমানে মাদ্রাসার জন্য অনুদান চাইছিল নাকি এটি একটি স্ট্যান্ড-আপ কমেডির প্রচারের অংশ ছিল।