অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অথবা এএএসইউ দাবি করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ ভারত বাংলাদেশ বর্ডার সিল করতে। আর সেই কারণেই দিন দিন ওপার বাংলা থেকে অবৈধ অভিবাসীরা এসেই চলেছে।
১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে এই এএএসইউ একাধিক আন্দোলন যেমন, অসম আন্দোলন, বিদেশি বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে, তাদের মতে ভারত সরকার ভারত বাংলাদেশ বর্ডার সম্পূর্ণ ভাবে সিল করতে ব্যর্থ হয়েছে, আর সেই কারণেই অসম এখন ইসলামিক উগ্রবাদীদের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে।
২১ অগস্ট, রবিবার দিন ধুবড়ি জেলার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনের পর এই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা বিগত ৩৭ বছর ধরে দাবি করে আসছে যে অসম চুক্তি অনুযায়ী সীমান্ত পাকাপাকি ভাবে সিল করে দেওয়া হোক। কিন্তু স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সেটা হল না। এমনকী বিজেপি সরকারও গত সাত বছরে সেটা করে উঠতে পারল না বলে, তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এই দলটাকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এএএসইউ-র সভাপতি শঙ্করজ্যোতি বড়ুয়া এবং উপদেষ্টা প্রকাশ চন্দ্র দাস। তাঁরা পরিদর্শন করে এসে জানান, "দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিন্নাসারা, ঘেহুমারি, ইত্যাদি জায়গায় এখনও সীমান্ত সিল করা হয়নি, একই অবস্থা ব্রহ্মপুত্র এবং গদাধর নদীর একাংশের। আর এসব অঞ্চল দিয়ে এখনও বাংলাদেশিরা ভারতে প্রবেশ করছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
তাঁদের দাবি অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব এই অঞ্চলের সীমান্ত সিল করে এই সমস্যা আটকাতে হবে। অসম বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় ২৬৮ কিলোমিটারের একটা লম্বা বর্ডার ভাগ করে। আর এই বর্ডার সিল করা একটা অন্যতম বিষয় ছিল ১৯৮৫ সালের অসম চুক্তির। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও আদতে কাজের কাজ কখনই হয়নি বলেই এএএসইউ জানিয়েছে।