ডেভিড লইতফ্লাং
থমথমে শিলং। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে যে ঝকঝকে শহর মেঘালয়ের অন্যতম আকর্ষণীয় চেরি ব্লসম ফেস্টিভাল হয়, তাও এই বছর বন্ধ। নেপথ্যে রয়েছে জয়ন্তিয়া পাহাড়ে অসম সীমান্তে ফরেস্ট গার্ডের গুলিতে ৬ গ্রামবাসীর মৃত্যু। শিলং শহরে ইতিমধ্যেই সরকারি অফিসে ৩০ শতাংশ উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। শনিবার করে শুরু হচ্ছে ‘রেড ফ্ল্যাগ মার্চ।’ সবমিলিয়ে মেঘালয়ের দিকে দিকে প্রতিবাদের আগুন।
কেএসইউ, জেএসইউ, এফকেজেজিপির মতো একাধিক সংগঠন ইতিমধ্যেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে শিলংয়ে। পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিলস জেলার মুখরোহ গ্রামে ৬ গ্রামবাসীর মৃত্যু নতুন করে অসম বনাম মেঘালয়ের সীমান্ত সংঘাতে উস্কানি দিয়ে দিয়েছে। এদিকে, জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের স্থানীয় সংগঠনগুলি সরকারি কর্মীদের এর প্রতিবাদে অফিসে না যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে। পর্যটনের মরশুমে কার্যত থমথমে গোটা শিলং। শহরের নানান স্কুলে এই সময় ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে। শিলং শহরের লইতমুখরা এলাকায় বহু গাড়ির আনাগোনা থাকে এই সময়। তবে সবই যেন স্তব্ধ রয়েছে শিলংয়ে। এই থমথমে পরিস্থিতির মধ্যেই অসম থেকে বিভিন্ন জ্বালানির ট্যাঙ্কার সশস্ত্রবাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে ঢুকছে মেঘালয়ে।
এদিকে, এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। যারপর মেঘালয় প্রশাসন জানিয়েছে, কোনও মতেই যেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অসমের প্লেট লাগানো গাড়ি মেঘালয়ে না আসে। ক্রমেই অসমের প্লেট লাগানো গাড়ি নিশানা হয়ে যাচ্ছে। এমনকি অসমেও মেঘালয়ের প্লেট লাগানো গাড়ি প্রবেশ রপখে দেওয়া হচ্ছে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কায়। এর আগেগত সপ্তাহের শুক্রবার ৬ জনের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার অসমের নম্বর প্লেট লাগানো গাড়িকে লক্ষ্য করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যারপর থেকে পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়ে যায়।