করমণ্ডল দুর্ঘটনার স্মৃতি এখন দগদগে হয়ে রয়েছে। এখনও বালেশ্বরের মর্গে সারি সারি শোয়ানো মৃতদেহ। তার মধ্যে ফের ওড়িশায় বিপর্যয়ের মুখে এক্সপ্রেস ট্রেন। সূত্রের খবর, সেকেন্দরাবাদ - আগরতলা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটা কামরা থেকে ক্রমাগত ধোঁয়া বের হতে দেখেন যাত্রীরা। এরপরই যাত্রীদের মধ্য়ে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়ায়।
সূত্রের খবর, ট্রেনটি তখন সবে ওড়িশার ব্রহ্মপুর স্টেশনে ঢুকেছে। তখনই দেখা যায় বি-৫ কামরা থেকে একেবারে প্রচন্ড ধোঁয়া বের হচ্ছে। আর দেরি করেননি যাত্রীরা। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন তারা। আগে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যাতে বড় কোনও বিপর্যয় না হয় সেকারণেই আগে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে দমকল ঘটনাস্থলে চলে আসে। রেলের কর্মী, আধিকারিকরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন।
কিন্তু কীভাবে ট্রেন থেকে এভাবে ধোঁয়া বের হতে শুরু করল?
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিটের জেরে সম্ভবত ধোঁয়া বের হচ্ছিল।তবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজ করা হয়। তবে দ্রুত যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার জেরে বড় কোনও বিপর্যয় হয়নি। তবে সব দিক পরীক্ষার পরে ট্রেনটি ফের রওনা দেয়।
এদিকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর থেকে মূলত দুর্ঘটনার ভয়াবহতা দেখে রেল যাত্রীদের মধ্য়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনে চাপার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এই আতঙ্ক কাজ করছে অনেকের মনে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ সব সময় পাশে রয়েছে। এদিন ব্রহ্মপুরে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য় সবরকম উদ্যোগ নেয় রেল।