আব্রাহাম থমাস
এআইডিএএমকে নেতৃত্ব নিয়ে বিতর্ককে কেন্দ্র করে এবার নয়া মাত্রা যোগ হল সুপ্রিম কোর্টে। ই পালানিস্বামীকে (EPS) অন্তর্বতীকালীন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশকে বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত । এআইএডিএমকের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের মঞ্চও এদিন কার্যত তৈরি হয়ে গিয়েছে। ১১ জুলাই দলের জেনারেল কাউন্সিল মিটিংটি কোনওভাবেই অবৈধ নয় বলেও জানানো হয়েছে। সেদিন তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইকে পালানিস্বামী (OPS) যিনি ইপিএস নামে পরিচিত তাঁকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে গণ্য় করা হয়। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ও পনিরসেলভামকে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ওপিএস বলে পরিচিত। আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন ওপিএস।
তবে এদিনের নির্দেশের জেরে ইপিএস যথেষ্ট স্বস্তি পেলেন। তবে ওপিএস এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যেতে পারবেন। সেই দরজা খুলে রেখেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি যাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তারাও এই সুযোগটা পাবেন বলেই খবর। আদালতের বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও ঋষিকেশ রায় জানিয়েছেন, বিচারের স্বার্থে আগামী দিনে সব রাস্তাই খোলা রাখলাম। তবে সবটাই আইন মেনে করতে হবে। আগামী দিনে যাবতীয় চ্য়ালেঞ্জের দরজাও খোলা রয়েছে।
এদিকে ১১ জুলাইয়ের সেই মিটিংয়ে ওপিএসকে সরানো হয়েছিল। দলের সমস্ত পদ থেকে সরানো হয়েছিল তাঁকে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে কার্যত দ্বৈত ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দু তৈরি হয়েছিল দলে। সেদিন সেই সিস্টেমেরও অবসান হয়। আসলে নেত্রী জয়ললিতার মৃত্যুর পরে কার্যত দলের রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে শুরু হয়েছিল দ্বন্দ্ব। তার পরিণতিতে মারাত্মক দ্বন্দ্ব শুরু হয় দলের অন্দরে।
তবে এদিন আদালতের নির্দে ইপিএসের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এবার দলের অন্দরে আরও শক্তভাবে তিনি প্রভাব ফেলতে পারবেন। অন্য়দিকে যাবতীয় দ্বন্দ্বকে সরিয়ে আরও সংঘবদ্ধ করতে পারবেন পার্টিকে। তবে ৮০ পাতার এই রায়ে বলা হয়েছে জেনারেল কাউন্সিল ২৬৬৫ জনকে নিয়ে তৈরি। তার মধ্যে ২১৯০জন সদস্য জেনারেল কাউন্সিল মিটিং ডাকার অনুরোধ করেছিল। গত ২৩ জুন তারা এই অনুরোধ করেছিল। এরপর প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ১১ জুলাই এই মিটিং হবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যখন কো অর্ডিনেটর ও জয়েন্ট কো অর্ডিনেটর যৌথভাবে কাজ করছে না সেক্ষেত্রে কাজে বিঘ্ন ঘটতে পারে। স্থবির হয়ে যেতে পারে যাবতীয় কাজ। এরপরই তারপর্যপূর্ণ রায়।