নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ ভারতীয়র।তার মধ্যে চারজন পোখরার টুরিস্ট হাবে প্যারাগ্লাইডিং করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে তেমনটাই খবর। ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের ঠিক আগে ভেঙে পড়ে নেপালে। ৭২জন যাত্রীর মধ্য়ে ৬৮জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। রবিবার মধ্য নেপালের পোখরাতে বিমানবন্দরে নামার ঠিক আগে ভেঙে পড়ে বিমানটি।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ ভারতীয় বিমানযাত্রীর। তাদের নাম অভিষেক খুশওয়া(২৫), বিশাল শর্মা( ২২), অনিল কুমার রাজভর (২৭), সোনু জয়সওয়াল(৩৫), ও সঞ্জয় জয়সওয়াল।সংবাদ সংস্থাকে এমনটাই জানিয়েছেন বিমান সংস্থার এক আধিকারিক।
এদিকে পাঁচজন ভারতীয়র মধ্যে দুজন সবে কাঠমান্ডুতে এসেছিলেন। দক্ষিণ নেপালের এক বাসিন্দা অজয় কুমার শাহ জানিয়েছেন, পোখরা পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গা। চারজনই এখানে প্যারাগ্লাইডিংয়ের জন্য় আসছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, একই গাড়িতে আমরা ভারত থেকে এসেছিলাম। পশুপতিনাথ মন্দিরের কাছে তারা ছিলেন। থামেলে হোটেল ডিসকভারিতে তারা ছিলেন। তারপর তারা পোখরার জন্য বেরিয়ে যান।
পোখরা থেকে গোরক্ষপুর হয়ে তাদের ভারতে ফেরার কথা ছিল।যে ভারতীয়রা মারা গিয়েছেন তার মধ্যে সোনু জয়সওয়াল নামে যে ব্যক্তি রয়েছেন তার বাড়ি বারানসীতে। এদিকে ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এদিকে গোটা ঘটনায় মৃতের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কীভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ল তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। এদিকে বিমানযাত্রীদের মধ্যে অনেকেই বেড়াতে যাচ্ছিলেন পোখরাতে। নেপালের অন্য়তম দ্রষ্টব্য স্থান হল এই পোখরা। বেড়ানোর স্বপ্ন ছিল তাঁদের চোখে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে যায় বিমানে। এদিকে প্লেন থেকেই এক ভারতীয় ফেসবুক লাইভ করছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে দাউ দাউ করে বিমান জ্বলার ছবি ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বারতৌলা বলেছেন, ২ শিশুসহ ১০ জন বিদেশি নাগরিক বিমানে ছিলেন। বিমানবন্দরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিমানে ৫৩ জন নেপালি, ৫ জন ভারতীয়, ৪ জন রাশিয়ান, একজন আইরিশ, ২ জন কোরিয়ান, ১ আর্জেন্টাইন নাগরিক এবং একজন ফরাসি নাগরিক ছিলেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পোখারা থেকে কাঠমান্ডু যাচ্ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি। কাস্কি জেলার কাছে সেটি ভেঙে পড়ে। টেক অফের ২০ মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট FlightRadar24 অনুসারে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া ATR72 বিমানটির বয়স ছিল ১৫ বছর। ATR72 হল টুইন ইঞ্জিন টার্বোপ্রপ এয়ারলাইনার। এয়ারবাস এবং ইতালির লিওনার্দো যৌথ উদ্যোগে তৈরি করে এই বিমান।