বুলন্দশহরের বাসিন্দা এক যুবক কাজ করতেন নয়ডায়। আচমকাই তার প্রেমিকার পরিবার তাকে ডেকে পাঠান বাড়িতে। সেই মতো তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। আর এরপর প্রেমিকার বাড়িতে যেতেই তাকে জোর করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সুন্নত করা হয় বলে অভিযোগ। ধর্মান্তরিত করার জন্যও তাকে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ এনিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ওই যুবকের নাম বিশাল। তিনি গোটা ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছেন। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই যুবক যাকে ভালোবাসেন তিনি অন্য ধর্মের। তবে তারা বিয়ে করার জন্য মনস্থ করেছিলেন। সেই মতো তাদের মধ্য়ে কতাবার্তা হয়। মেয়েটি তার বাড়িতে বিষয়টি জানায়। সেই মতো বিশালকে ডেকে পাঠান মেয়ের বাড়ির লোকজন। এরপর তাকে ধর্মান্তরিতকরণের জন্য তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়।
সেখান থেকেই তাকে কার্যত জোর করেই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে তাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে দেওয়া হয়। এরপর তাকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ছেলের বাড়ির লোকজনও নার্সিংহোমে যান। সেখান থেকে ওই যুবককে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে। তবে ওই প্রেমিকা অবশ্য যুবকের পাশে রয়েছেন। তিনিও আতঙ্কিত। পুলিশ জানিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ার মাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই নার্সিংহোম সম্পর্কেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এভাবে জোর করে ধর্মান্তিরকরণে পেছনে কাদের হাত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।