২০১৯ সালের ৫ অগস্ট অবলুপ্তি ঘোষণা করা হয় জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আর্টিক্যাল ৩৭০এর । সেই ঘোষণা দিল্লির সংসদ থেকে করেছিলেন অমিত শাহ। তার আগে সংসদে হয়েছিল বহু তর্ক , বিতর্কের পালা। এরপর ২০২২ সালে জম্মুর রজৌরিতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ তোলেন অমিত শাহ। জানান, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির ফলে কী কী সুবিধা হয়েছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদের।
অমিত শাহ বলেন, যাঁরা পাহাড়ে থাকেন, যাঁরা পিছিয়ে পড়া শ্রেণি ও যাঁরা দলিত তাঁদের জন্য আর্টিক্যাল ৩৭০ এর অবলুপ্তি সুবিধাজনক হয়েছে সংরক্ষণের দিক থেকে। উল্লেখ্য, নবরাত্রি উপলক্ষ্যে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে পুজো অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপর রজৌরিতে একটি সভায় যোগ দেন তিনি।
সেখানেই তিনি বলেন,' আজকের সভা আর আপনাদের মোদী মোদী ধ্বনিই জবাব দিচ্ছে তাঁদের যাঁরা বলেছিলেন যে আর্টিক্যাল ৩৭০ অবলুপ্ত হলে রক্তবন্যা বয়ে যাবে।' এরসঙ্গেই তিনি প্রসঙ্গ তোলেন কাশ্মীরের রাজনীতির পরিবারতন্ত্র নিয়ে। অমিত শাহ বলেন, তিনটি পরিবার কাশ্মীরে রাজত্ব করে গিয়েছে। বর্তমানে জেলাস্তর ও পঞ্চায়েতের ভোটের দ্বারা ৩০০০০ মানুষের ক্ষমতা রয়েছে এই কাশ্মীরে।
একইসঙ্গে রজৌরির জনসভা থেকে সোচ্চার কণ্ঠে অমিত শাহ জানিয়ে দেন যে, জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে বেশি নজরে রয়েছে। তিনি বলেন, মোদী নজরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন। পরবর্তীকালে জম্মুর কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন অমিত শাহ। এরপর ৫ অক্টোবর অমিত শাহ কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। চলবে পর্যালোচনা ধর্মী বৈঠক।