কেন্দ্রীয় সরকার উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের জন্য ১৬৫৮.১৭ কোটি টাকার পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিটি জোশীমঠের জন্য ১৬৫৮.১৭ কোটি টাকার পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে । এই প্রকল্পের জন্য, ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড (এনডিআরএফ)-এর পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন তহবিল থেকে ১০৭৯.৯৬কোটি টাকা দেওয়া হবে।
উত্তরাখণ্ড সরকার, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিল (এসডিআরএফ) থেকে ১২৬.৪১ কোটি টাকা এবং ত্রাণ সহায়তার জন্য রাজ্য বাজেট থেকে ৪৫১,৮০ কোটি টাকা প্রদান করবে। যার মধ্যে ৯১.৮১ কোটি টাকার পুনর্বাসনের জন্য জমি অধিগ্রহণ খরচও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের থেকে বলা হয়েছে, ‘জোশীমঠের পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনাটি তিন বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। বিল্ড ব্যাক বেটার (বিবিবি) নীতি অনুসরণ করে, টেকসই ভাবে একে গড়ে তোলা হবে। জোশিমঠ পরিবেশগত স্থায়িত্বের একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে উঠবে।’
(পড়তে পারেন। জ্ঞানবাপী নিয়ে রিপোর্ট পেশের জন্য সময় চাইল ASI, কারণ জানতে চাইল আদালত)
জোশীমঠ গত বছরের নভেম্বর থেকে ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে ৮৬৮টি আবাসিক ভবন এবং অন্যান্য কাঠামোতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮১ নিমার্ণকে অনিরাপদ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে, জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) নির্দেশনায় সমস্ত প্রযুক্তিগত সংস্থাগুলি রাজ্য সরকারকে জোশীমঠের পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা দ্রুত প্রস্তুত করতে সাহায্য করে।’
সেপ্টেম্বরে হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূতাত্ত্বিক অস্থিতিশীলতা, ব্যাপক উন্নয়ন এবং যানবাহনের কম্পন পবিত্র শহরে ফাটল তৈরি করছে। যা ভূমিধসের কারণে ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে।
২০২২-এর নভেম্বর এবং ২০২৩-এর জানুয়ারি মধ্যে শহরে হঠাৎ ফাটল দেখা দেওয়ায়, রাজ্য এবং কেন্দ্র যৌথভাবে এ নিয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করে।