Hand cut off: ট্রেনের চাকায় কেটে যাওয়া নিজের হাত নিয়েই বিহারের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন যুবক

ওই যুবক ফুলিডুমার থানা এলাকার কাইথা গ্রামের বাসিন্দা। সুলতানগঞ্জে এক গ্রামবাসীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ট্রেনে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তিনি ট্রেন থেকে নামতে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সুমন ভারসাম্য হারিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায়। যার ফলে তাঁর বাম হাতটি ট্রেনের চাকার নিচে আটকে যায়।

বিহারের রাস্তায় সেই যুবকের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। 

চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল বিহারে। ট্রেন দুর্ঘটনায় হাত কেটে রক্তে ভিজে যাচ্ছে একটি হাত। আর সেই অবস্থাতেই হাসপাতালে না গিয়ে নিজের কেটে যাওয়া হাত নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যুবক।  ঘটনাটি ঘটেছে ভাগলপুর জেলার সুলতানগঞ্জ বাজারে। সেই দৃশ্য থেকে কার্যত হতবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। অনেকেই সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। জানা গিয়েছে, যুবকের নাম সুমন কুমার।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ওই যুবক ফুলিডুমার থানা এলাকার কাইথা গ্রামের বাসিন্দা। সুলতানগঞ্জে এক গ্রামবাসীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে ট্রেনে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তিনি ট্রেন থেকে নামতে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সুমন ভারসাম্য হারিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায়। যার ফলে তাঁর বাম হাতটি ট্রেনের চাকার নিচে আটকে যায়। যার ফলে তাঁর হাতটি কেটে পড়ে যায়। সেই হাতটি নিয়েই রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, গুরুতর আঘাত এবং ক্ষত জায়গা থেকে রক্ত ​​পড়া সত্ত্বেও ওই যুবকের মুখে কষ্টের কোনও ছাপ ছিল না। সুলতানগঞ্জ থানার অতিরিক্ত এসএইচও অশোক কুমার সিং বলেন, একটি কাটা অঙ্গ নিয়ে হাঁটার দৃশ্য ভয়ঙ্কর ছিল। এই দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টিও জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে সুমনকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে পুলিশ সুমনের বাবা-মায়ের কাছে তাঁর মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানায়। পরিবারের সদস্যরা জানান, তাঁকে ভাগলপুর মায়াগঞ্জের জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এবিষয়ে সুলতানগঞ্জ থানার অতিরিক্ত এসএইচও অশোক কুমার সিং বলেন, যুবক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ট্রেনের ধাক্কায় তাঁর হাত কেটে যায়। সেই হাতটি গঙ্গায় ফেলে দিত চেয়েছিলেন ওই যুবক। কিন্তু, তার আগেই পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। আপাতত ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, ঘটনাটির কথা পরিবারের সদস্যদেরও জানানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।