রাত পোহালেই রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। গোটা দেশ জুড়ে গেরুয়া আবেগ ক্রমশ জাগরিত হচ্ছে। এসবের মধ্য়েই মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। অসমের মুখ্য়মন্ত্রী মুসলিম ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় মানুষের কাছে বিশেষ আবেদন করেছেন। কী সেই আবেদন?
হিমন্ত বিশ্বশর্মা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন, আমি মুসলিম ও খ্রীষ্টানদের কাছে আবেদন করছি যাতে কাল বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। যাতে সমস্ত জাতি ও সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারেন। এটা হিন্দুদের জয় নয়, এটা ভারতীয় সভ্যতার জয়। এটা ধর্মের জয় নয়। এক আগ্রাসনকারী ভারতের পুজোর স্থানকে ভেঙে দিয়েছিল। বাবর ছিল আগ্রাসনকারী। তিনি শুধু হিন্দুদের উপর আক্রমণ করেননি। ইংরেজ আর বাবরের মধ্য়ে কোনও ফারাক নেই। বাবরও বিদেশি শক্তি ছিলেন।
কার্যত গোটা পৃথিবী জুড়ে রামের নামে আবেগ। রামের নামে আবেগের ঢেউ ক্যালিফোর্নিয়া থেকে কোচবিহার, লন্ডন থেকে লালবাগ পর্যন্ত। এসবের মধ্য়ে খ্রীষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়কে বিশেষ প্রার্থনা করার জন্য় আবেদন করলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী। বিজেপি শাসিত অসম। সেখানে রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
অপেক্ষার কাউন্টডাউনে গোটা রামনগরী অযোধ্যায়। রাত পোহালেই সেখানে রাম মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসব। ইতিমধ্যেই ৮ হাজার আমন্ত্রিতদের মধ্যে বহু জনেই পা রেখেছেন রামনগরীতে। সেলেব থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন একে একে। এদিকে, রাম-নামের ধ্বনি গোটা অযোধ্যা জুড়ে। ভিড় জমাচ্ছেন সাধু সন্তরাও। এদিকে, ১৪ যজমানের তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে একেবারে মেগা ইভেন্ট। গোটা দেশে রামমন্দিরের ঢেউ। পাড়ায় পাড়ায় উঠছে জয় শ্রীরাম স্লোগান। অবিজেপি লোকজনও খোঁজ নিচ্ছেন রামমন্দির নিয়ে। উৎসাহ একেবারে তুঙ্গে।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি একেবারে আদা জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে। রামমন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আবেগকে কাজে লাগানোর সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাংলায় অবশ্য় সোমবার বের হবে সংহতি মিছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।