শিয়ালদা থেকে নিউ দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে গুলি চালালেন এক সেনা জওয়ান। সূত্রের খবর, ওই জওয়ানের কাছে যে টিকিট ছিল সেটা হাওড়া-শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসের। আর তিনি যে ট্রেনে চেপেছিলেন সেটা হল শিয়ালদা- নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস। ধানবাদ থেকে তিনি ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু তাঁর কাছে উপযুক্ত টিকিট না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে আপত্তি তোলেন টিকিট পরীক্ষক। এরপরই তাঁর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। এরপরই তিনি গুলি চালাতে শুরু করেন বলে খবর। তবে দ্রুত আরপিএফ তাকে ধরে ফেলে। এরপর কোডার্মা স্টেশনে ট্রেনটি থামলে তাকে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সূত্রের খবর, ওই সেনা জওয়ানের নাম হরবিন্দর সিং। তার বয়স ৪১ বছর। ১২৩১৩ আপ শিয়ালদা- নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসের বি-৮ কোচে উঠে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার কাছে যে টিকিট ছিল সেটা অন্য ট্রেনের। এরপরই এনিয়ে আপত্তি তোলেন টিকিট পরীক্ষক। কারণ ওই ট্রেনের টিকিট তার কাছে ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ওই ট্রেনে উঠতে পারেন না। এরপরই তিনি তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপরই তিনি গুলি ছোঁড়েন বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এটাই স্বস্তির। তবে গোটা ঘটনায় যাত্রীদের মধ্য়ে ব্যপক আতঙ্ক ছড়ায়। তবে আরপিএফ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।
সিপিআরও পূর্বরেল, কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, তিনি অন্য ট্রেনের টিকিট নিয়ে শিয়ালদা -নিউ দিল্লিগামী রাজধানীতে উঠেছিলেন। ট্রেনটিকে কোডার্মাতে দাঁড় করিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ৩১শে জুলাই ভয়াবহ ঘটনা হয়েছিল ট্রেনে। মুম্বইতে চলন্ত ট্রেনে গুলি চালিয়ে চারজনকে খুন করেছিল এক আরপিএফ কনস্টেবল। নাম চেতন সিং। তিনজন যাত্রী ও এক সিনিয়র আধিকারিককে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল ওই আরপিএফ কনস্টেবল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে তিনি একের পর এক গুলি চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে সেই ঘটনার পেছনে কোনও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল সেদিন একটু আগে ডিউটি থেকে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় তিনি রেগে যান। তবে সবটাই তদন্তসাপেক্ষ।
এবার ট্রেনে গুলি চালাল এক সেনা জওয়ান। তবে স্বস্তির এটাই এদিনের গুলি কাণ্ডে কেউ হতাহত হননি।