একের পর এক সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনা বাংলাদেশে। দুর্গামণ্ডপে কার্যত তান্ডব চালানো হয়েছিল। একেবারে গোড়ায় কুমিল্লার একটি দুর্গামণ্ডপে মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরান রাখার ঘটনাকে ঘিরেও ছড়িয়েছিল অশান্তির আগুন। সেই আগুনেই ছারখার হয়ে যায় একের পর এক ধর্মীয়স্থান। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল ভারত- বাংলাদেশ দুই দেশেই। এদিকে বুধবারই সিসি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। এদিকে তার খোঁজে ব্যপক তল্লাশি শুরু হয়।
শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ১০টা নাগাদ বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকা থেকে পুলিশ ইকবালকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে খবর কুমিল্লার দুর্গা পুজোর মণ্ডপে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল এক যুবক রাতের অন্ধকারে হাতে কিছু একটি নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। অভিযোগ, ওই যুবকই ইকবাল। তারই হাতে ছিল পবিত্র কোরান। এরপর সে সেটিকে দুর্গা মণ্ডপে রাখে বলে অভিযোগ।
তবে দুর্গা পুজোর মণ্ডপে কোরান থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন। প্রথমে ওই মণ্ডপে চলে ভাঙচুর।এরপর ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ত থাকে অশান্তর আঁচ। এদিকে ইসকনের উপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তবে কেন ওই ব্যক্তি পবিত্র কোরানকে দুর্গা মণ্ডপে রেখেছিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে কী পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়ানোর জন্য এই ঘৃন্য ছক কষা হয়েছিল?