সায়ন্তন ভট্টাচার্য ও তাঁর বোন সাগরিকা ভট্টাচার্য। দুজনেই অসমের শিলচরের বাসিন্দা। তাদের দাবি কোভ্যাক্সিনের জায়গায় তাদের দ্বিতীয় ডোজে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, গত ১১ মে প্রথম ডোজের সময় তাদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর ২১শে জুন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য তারা স্লট বুকিং করেন। লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা ভ্যাকসিনও নেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন, কী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা উত্তর দেন কোভিশিল্ড। এনিয়ে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।
এদিকে অসম স্বাস্থ্য দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রথম ডোজ হিসাবে এবার থেকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে না। যারা কোভ্যাক্সিন প্রথম ডোজ হিসাবে নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজেও তাঁদের কোভ্যাক্সিনই দেওয়া হবে। এনিয়েই আতঙ্কের মধ্যে পডেছেন ভাই বোন।
সায়ন্তনের দাবি, গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তারা। এটা মোবাইলে রেকর্ডও করা হয়। এদিকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পরে তাঁদের অনুরোধ করেন, বিষয়টি বাইরে না বলতে। এমনকী সেকেন্ড ডোজ হিসাবে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে এমন ভুয়ো সার্টিফিকেটও তারা দেওয়ার আশ্বাস দেন। সায়ন্তন বলেন, ‘যে মেসেজটা পাঠানো হয়েছে সেখানে কোভ্যাক্সিন লেখা ছিল। অথচ আমাদের দেওয়া হয়েছে কোভিশিল্ড।’ এবার এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে কিনা তানিয়ে আতঙ্কিত তারা।
অন্যদিকে কাছারের কাগজকলের এক কর্মী সেকেন্ড ডোজের দাবিতে অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মানবেন্দ্র চক্রবর্তী নামে ওই বাসিন্দার দাবি ৫৮দিন অপেক্ষা করার পরেও আমরা দ্বিতীয় ডোজ পেলাম না।