দেশের ৪ রাজ্যের ভোটগণনায় তিনটি রাজ্য দখল করেছে বিজেপি। একমাত্র তেলাঙ্গানায় ক্ষমতায় আসতে চলেছে কংগ্রেস। দেশে মোদী বিরোধী INDI জোটের প্রথম পরীক্ষা ছিল এই নির্বাচন। আর তাতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ২০২৪এ মোদীকে টক্কর দেওয়ার উদ্যোগ। ব্যতিক্রম নয়, জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা বামেরাও। ৩টি রাজ্যে নোটার কাছে হেরেছে তারা। একটিতে টক্কর দিয়েছে সমানে সমানে।
রবিবারের ভোটগণনায় রাজস্থান ও ছত্তিসগড় কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে তলেছে বিজেপি। আর মধ্যপ্রদেশ ধরে রাখতে চলেছে তারা। বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ছত্তিসগড়ে সিপিআই পেয়েছে ০.৪১ শতাংশ ভোট, সিপিএম পেয়েছে ০.০৪ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ নকশাল কবলিত রাজ্যটিতে বামেদের মোট ভোট ০.৪৫ শতাংশ। সেখানে ছত্তিসগড়ে নোটায় ভোট পড়েছে ১.২৮ শতাংশ।
মধ্য প্রদেশে ছবিটা এরও করুণ। এখানে সিপিআই আর সিপিএম মিলে পেয়েছে ০.০৪ শতাংশ ভোট। সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ০.৯৯ শতাংশ।
তবে রাজস্থানে কিছুটা ভালো ফল করেছে বামেরা। সেখানে সিপিআই – সিপিএম মিলে পেয়েছে ১.০০ শতাংশ ভোট। সেখানে নোটায় ভোট পড়েছে ০.৯৭ শতাংশ। সীতারাম ইয়েচুরির রাজ্য তেলাঙ্গানায় বামেরা পেয়েছে ০.৬১ শতাংশ ভোট। সেরাজ্যে নোটায় ভোট পড়েছে ০.৭২ শতাংশ।
গোবলয়ে বামেদের দুর্দশা নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দল যখন নিজেদের সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে তখন গণআন্দোলনেই আটকে রয়েছে বামেরা। কেন সেই পন্থা দশকের পর দশক কোনও ফল দিচ্ছে না তার কি কোনও পর্যালোচনা হবে পার্টির অন্দরে?