১০০ দিনের কাজকে ঘিরে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এবার ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি রুখতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পের কাজে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাপে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে আগামীদিনে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সরকারি টাকা নয়-ছয় কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
১০০ দিনের কাজের নামে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই রাজ্যে। ১০০ দিনের কাজের নামে পুকুর খনন না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও অনেক জায়গা থেকেই টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের খাতে রাজ্যের দাবিদাওয়া চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছেন। এরই মধ্যে সোমবার কেন্দ্রের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং অ্যাপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিকে উপস্থিতি দিতে হবে এই প্রকল্পের অংশগ্রহণকারী শ্রমিকদের। খাতায় লিখে হাজিরা দিলে তা আর গণ্য হবে না। দুর্নীতি রুখতে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘২০২১ সালের ২১ মে কেন্দ্রীয় সরকারের ওই অ্যাপের মাধ্যমে হাজিরা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ফলে সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’ জানা যাচ্ছে, এতদিন ধরে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে উপস্থিতি কেন্দ্রের তরফে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ঐচ্ছিক হিসাবেই ছিল। কিন্তু নানা দিক থেকে অভিযোগ আসার পর থেকে কেন্দ্র এবার কড়া সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে।