যতই করোনা নিয়ে মানুষ ভয় পান না কেন, নিঃসন্দেহে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় ত্রাসের নাম ক্যানসার। এই রোগের বহু চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু কোনও চিকিৎসাপদ্ধতিই একশো শতাংশ নিশ্চিত করতে পারে না, তাতে ক্যানসার সারবে। প্রকৃতপক্ষে এটি নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীরা গবেষণার স্তরেই। যদিও মাঝে মধ্যেই খবর আসে, নতুন কিছু সূত্র পাওয়া গিয়েছে এই রোগটিকে আটকানোর। কিন্তু তাও এখনও পর্যন্ত একশো শতাংশ নিরাপত্তার থেকে বহু দূরেই দাঁড়িয়ে আছে বিজ্ঞান।
(আরও পড়ুন: বেবি পাউডারেই লুকিয়ে ক্যানসারের বিষ! সংস্থাকে ১৫০ কোটি জরিমানা করল আদালত)
(আরও পড়ুন: শুধু সিওপিডি নয়, ক্যানসারও ওঁত পেতে! একটি কাজেই ঝুঁকি বাড়ছে আপনার)
কিন্তু এই রোগটি নিয়ে এত ভয়ের কারণ কী? কারণ, এটি গোড়াতেই ধরা যায় না। যখন ক্যানসার ধরা পড়ে, তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ অনেক ক্ষেত্রেই নেই। ফলে ক্যানসার রীতিমতো ছড়িয়ে পড়ার আগে এটি ধরা যায় না। চিকিৎসকরা বলেন, গোড়াতে ধরা গেলে, অনেক ক্যানসারই মারাত্মক হয়ে ওঠে না। ফলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যায়। এই সংকট কাটাতে এবার বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করলেন এক জীবাণুর।
(আরও পড়ুন: স্তন ক্যানসার চিনতে কে বেশি পটু? মানুষ না কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা? জানলে অবাক হবেন)
(আরও পড়ুন: রাতে ঘুমের মধ্যে ঘাম হয়? এটাও কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ! কখন সাবধান হবেন)
হালে বিজ্ঞানীরা গবেষণাগারে তৈরি করতে পেরেছেন এমনই ব্যাকটিরিয়া। এই ব্যাকটিরিয়া তাড়াতাড়ি চিহ্নিত করতে পারবে ক্যানসারের ডিএনএ। এমনই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, ক্যানসার চিহ্নিত করার জন্য যেহেতু কোনও পরীক্ষাই সেভাবেই একশো শতাংশ সফল ভাবে কাজ করে না, তাই এর চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে যায়।
নতুন এই ব্যাকটিরিয়াকে ঠিক করে কাজে লাগানো গেলে, ক্যানসার সংক্রমণ এখেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই ধরে ফেলে সম্ভব। আর তাতে চিকিৎসাও শুরু কার যাবে দ্রুত। এর ফলে ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রাণ বাঁচানো যাবে বেশি মাত্রায়। এমনই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। এই ব্যাকটিরিয়াকে ঠিক করে ব্যবহার করা গেলে আগামী দিনে ক্যানসার চিকিৎসায় বিপ্লব আসতে চলেছে বলেও মনে করছেন তাঁরা।