শরীর ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিএনপি দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এবার সেটা আরও খারাপ হতে শুরু করেছে। আবার তাঁর শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে বলে খবর। সোমবার রাতে খালেদা জিয়াকে আবার ভর্তি করা হয় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। তাঁর শরীর ক্রমাগত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এটাই সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। এমনকী খালেদা জিয়ার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন চিকিৎসককে আনা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে শারীরিক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হওয়ায় খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের সিসিইউতে। আজ, মঙ্গলবার সকালে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সপ্তম তলার কেবিন নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি শারীরিকভাবে এতটাই দুর্বল যে নিজে হেঁটে যেতে পারছেন না। আর শ্বাসকষ্টের সঙ্গে ফুসফুসে জল জমে যায় তাঁর। এখন আরও জটিল হয়েছে পরিস্থিতি। ওই হাসপাতালে আগেও বেশ কয়েকবার সিসিইউ–তে ভর্তি করা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে খালেদা জিয়ার।
অন্যদিকে ৯ অগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। সেখানে থাকা অবস্থায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছে। বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখান থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার জীবন এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আগেই তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন করার কথা বলা হযেছিল। তবে লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। লিভার সিরোসিসের কারণে খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্র এবং কিডনির জটিলতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মোটরবাইক–ম্যাটাডোরের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বিজয়া দশমীর দিন মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের
তবে এখন চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। তাই তাঁকে সর্বক্ষণ চিকিৎসার মধ্যে রাখতে হচ্ছে। তাঁকে সিসিইউ–তে নিতে হচ্ছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে স্থায়ী মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ভাই শামীম ইস্কান্দার। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৭৮ বছর বয়স খালেদা জিয়ার। আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার এবং হৃদরোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। দুটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৮ সাল থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়।