পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ গরম। কিন্তু কেমন আছে বাংলাদেশ?স স্বস্তি নেই সীমান্তের ওপারেও। ওপার বাংলাতেও চলছে তাপপ্রবাহ। তার সঙ্গেই শুরু হয়েছে টানা লোডশেডিং। ফ্য়ানও চলছে না বাড়িতে, দোকানে। এদিকে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে প্রাথমিক স্কুলগুলিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হল। তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দশ দিন আগেও ৩২ ডিগ্রির কাছে ঘোরাঘুরি করছিল গরমের মাত্রা। তবে গত কয়েকদিনের মধ্য়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এদিকে একে তো গরম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং। খবর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কারেন্ট থাকছে না একাধিক এলাকায়। একাধিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানির সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের শক্তিসম্পদ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নাসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়েই এনার্জি ক্রাইসিস চলছে। তার জেরেও সমস্যা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন দ্রুত অবস্থার উন্নতির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে এই তাপপ্রবাহের জেরে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলছে। ব্যবসায়ীরাও মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন। দোকানপাটে লোকজন থাকছেন না। প্রচন্ড গরমে অনেকেই বের হতে চাইছেন না। বাধ্য় হয়েই ক্রেতা বিহীন দোকানে বসে থাকছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে প্রচন্ড গরমে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন অনেকে। একাধিক জনের হিট স্ট্রোক হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলিও এনিয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে। এদিকে বাসিন্দাদের ঘরে থাকার জন্য় অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু ঘরেতেও কারেন্ট নেই। তার সঙ্গেই পানীয় জলের সংকট। এর জেরে সমস্যা আরও বাড়ছে।
অনেকেই ছায়ায় বসে ঝিমোচ্ছেন। চারদিকে যেন গনগনে তাপ। যারা কায়িক পরিশ্রম করেন তাঁরা মারাত্মক সমস্য়ায় পড়ে যাচ্ছেন। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন তারা। প্রচন্ড গরম আর কারেন্ট অফের জেরে বাংলাদেশের কাপড়ের ব্যবসাতেও মন্দা দেখা দিয়েছে। এর জেরে রফতানিতেও প্রভাব পড়ছে। সব মিলিয়ে দুই বাংলাতেই একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।