জোগান থাকলে অগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের করোনার টিকা দেবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে রোহিঙ্গারা। (ফাইল ছবি, সৌজন্য রয়টার্স)

আগামী মাস থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের টিকাদান শুরু হতে পারে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷

আগামী মাস থেকেই বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গারা টিকা পেতে যাচ্ছেন৷ ‘পর্যাপ্ত ডোজের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে অগস্টের যে কোনেও দিন থেকেই আমরা টিকাদান শুরু করতে পারি,’ জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএকে এমনটাই বলেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার প্রধান শাহ রেজওয়ান হায়াত৷ তবে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি৷

প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ পরবর্তীতে আরও টিকা পাওয়া গেলে আওতা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি৷ বর্তমানে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলিতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন৷ গত বছরের মে মাসে সেখানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটে৷ রোহিঙ্গাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২,১৬১ জন, মারা গিযেছেন ২৪ জন৷ টিকার পরিকল্পনা নিয়ে রেজওয়ান হায়াত বলেন, ঘাটতি থাকায় প্রথম পর্যায়ে শুধু ৫৫ বয়সের উপরের ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে৷ পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া গেলে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের সবাইকেই আওতায় আনা হবে৷

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা৷ সেই সঙ্গে কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোরও দাবি জানান তারা৷ লাম্বাসিয়া ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে অনেক মানুষ একসঙ্গে বাস করেন৷ কাজেই প্রত্যেকেরই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে৷’

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ নিজেদের নাগরিকদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে৷ মাঝে ভারত থেকে টিকা না আসায় বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যাক্রমে ভাটা পড়ে৷ তবে কোভ্যাক্সের অধীনে পাওয়া টিকা ও চিন থেকে কেনা টিকা আসতে শুরু করায় এখন তা আবার গতি পেতে শুরু করেছে৷

বাংলাদেশে বসবাসরত দশ লাখের উপরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টিকা দেওয়া নিয়ে এতদিন ধরে অনিশ্চয়তা ছিল৷ গত জুনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সব কিছু রাষ্ট্রসংঘ তত্ত্বাবধানে হয়৷ জাতিসংঘ ভ্যাকসিন দিলে রোহিঙ্গাদের ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা আছে আমাদের৷’