চলতি বছরের র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ফিরদৌসি কাদরি৷ এশিয়ার নোবেল খ্যাত এই পুরস্কারের জন্য এবার তিনি এবং আরও তিনজন ও এক প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর, বি) বর্ষীয়ান বিজ্ঞানী ড. ফিরদৌসি কাদরি৷ ১৯৮৮ সাল থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত আছেন৷ বাংলাদেশে-সহ এশিয়া ও আফ্রিকায় কলেরা, টাইফওয়েড ও বিভিন্ন রোগের বিস্তার ঠেকাতে তাঁর গবেষণা রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা৷ এF কারণে এশিয়ার তিন ব্যক্তির সঙ্গে র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ২০২১ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ফিরদৌসি কাদরি৷
মঙ্গলবার পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়৷ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে র্যামন ম্যাগসাইসাই কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানের প্রতি ফিরদৌসি কাদরির অনুরাগ ও নিবেদন এবং মানবসম্পদ ও অবকাঠামো গড়ে তুলতে তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন, তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সুফল দেবে৷ টিকার উদ্ভাবন ও কয়েক কোটি মানুষের মূল্যবান জীবন বাঁচাতেও তাঁর গবেষণা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে৷
ফিরদৌসি কাদরি ছাড়াও এই বছর পুরস্কার পাচ্ছেন পাকিস্তানে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কাজ করা মহম্মদ আমজাদ সাদিক, উদ্বাস্তুদের সহায়তায় কাজ করা মানবাধিকার কর্মী স্টিভেন মানসি, ফিলিপিন্সের মৎস্যজীবী রবার্তো ব্যালস এবং ইন্দোনেশিয়ার তথ্যচিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়াচডক৷ আগামী ২৮ নভেম্বর ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় বিজয়ীদের হাতে সনদ, মেডেল এবং অর্থ পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে৷ এশিয়ার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৯৫৮ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে৷ এর নামকরণ করা হয়েছে ফিলিপিন্সের সপ্তম রাষ্ট্রপতির নামে৷
১৯৭৮ সালে সমাজ সেবায় অবদান রাখার জন্য তাহরুন নেসা আবদুল্লাহ প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে র্যামন ম্যাগসাইসাই অর্জন করেন৷ এছাড়াও ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ড. মহম্মদ ইউনুস, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সমাজ সেবক অ্যাঞ্জেলা গোমেজ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান এই পুরস্কার অর্জন করেন৷ পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকার জন্য ২০১২ সালে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও পান র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার৷