বাটলা হাউসকাণ্ডে ইন্সপেক্টর মোহনচাঁদ শর্মাকে হত্যার ঘটনায় আরিজ খানকে দোষী সাব্যস্ত করল দিল্লির একটি আদালত। যে জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ। তবে সাজা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। আগামী ১৫ মার্চ শাস্তির মেয়াদ নিয়ে সওয়াল-জবাব শুনবে আদালত।
২০০৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বাটলা হাউস এনকাউন্টারের ঘটনার প্রায় ১০ বছর পর আরিজকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ৩৩৩, ৩৫৭. ১৮৬, ৩৪এ এবং ১৭৪এ ধারায় দণ্ডিত ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে অস্ত্র আইনের ২৭ ধারায় (বেআইনি অস্ত্র রাখার জন্য জেল) আরিজকে দণ্ডিত করেছে আদালত।
সোমবার অ্যাডিশনাল সেশন জজ সন্দীপ যাদব জানান, যে তথ্যপ্রমাণ পেশ করা হয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই যে ইন্সপেক্টর মোহনচাঁদ শর্মার কাজে বাধা দিয়েছিল আরিজ ও তার সহযোগীরা। হেড কনস্টেবল বলবন্ত সিং এবং বলবীর সিংকে লক্ষ্য করেও গুলি চালিয়েছিল তারা। বিচারক বলেন, ‘এটা প্রমাণিত যে নিজের সহযোগীদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে এবং সজ্ঞানে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করে শর্মাকে হত্যা করেছে।’ একইসঙ্গে ইন্সপেক্টর শর্মার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য দণ্ডিতের আর্থিক অবস্থা কেমন, তা দেখার জন্য তদন্তকারী আধিকারিককে নির্দেশ দেন বিচারক। সেই সময় আদালতে হাজির ছিল আরিজ। কিন্তু দণ্ডিত হওয়ার পর তার অঙ্গভঙ্গিতে লেশমাত্র পরিবর্তন ধরা পড়েনি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে দিল্লিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (কমপক্ষে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হয়েছিলেন ১০০ জনের বেশি) পর ১৯ সেপ্টেম্বর বাটলা হাউস এনকাউন্টারে ইন্সপেক্টর শর্মাকে খুনের অভিযোগে আরিজ, সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি শাহজাদ আহমেদ, আতিফ আমিন এবং মহম্মদ সাজিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় আরিজ পলাতক ছিল। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সে ধরা পড়ে।