মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপিকাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৫০,০০০ টাকা জরিমানার দিল্লি হাই কোর্টের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট।
গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছে, ‘সন্তানের জন্ম দেওয়া কখনই একজন মহিলার পেশাদারী দক্ষতার পরিচায়ক নয়। তিনি সেনাবাহিনী, নৌসেনা, বিচার ব্যবস্থা, শিক্ষকতা বা কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যেখনেই কর্মরতা হন না কেন, এই নিয়ম খাটে না। এই কারণে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে পারছি না।’
এর ভিত্তিতে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদন নাকচ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, মামলা লড়ার খরচ হিসেবে ওই বরখাস্ত শিক্ষিকাকে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ৫০,০০০ টাকা দিতে হবে।
একই সঙ্গে অযৌক্তিক মামলা দায়ের করে আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য করলেজ কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করেসুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। বহাল রাখা হয় দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি আশা মেননের জারি করা নির্দেশওমামলার রায়ও।
জানা গিয়েছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা শ্রী অরবিন্দ কলেজে এককালীন সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরতা ওই মহিলা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বেয়েছিলেন, যে ছুক্তি ৪ মাস অন্তর একদিনের ছুটি-সহ পুনর্নবীকরণ করা হত। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে শেষ বার তাঁর চুক্তি নবীকরণ করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি চার মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেন। তার জেরে তাঁকে গত বছর মার্চ মাসে ছাঁটাই করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন জানিয়ে তিনি প্রথমে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জানান, যা নাকচ হয়ে যায়। পরে সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ফের আপিল করলে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কোনও আইনি যুক্তি কাজ করে না।