লোকসভা ভোটে বিজেপির নজরে ৩৭০ আসন দখল। আর তা দখলে রাখতে বিজেপির নজরে সেই সমস্ত এলাকা, যেখানে সেভাবে বিগত বিধানসভায় জমি শক্ত করতে পারেনি বিজেপি। ফলত, দক্ষিণ ভারতের দিকে ফোকাস বাড়াতে থাকেন নড্ডারা। সেই জায়গা থেকে শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের তাবড় রাজনৈতিক দল টিডিপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি। ফলে এবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএতে শামিল হল চন্দ্রবাবাবু নাইডুর টিডিপি। সঙ্গে পবন কল্যাণের জনসেনাও বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
গুঞ্জন ছিলই। আর সেই মতোই, জল্পনাকে সত্যি করে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক আঙিনায় এবার বিজেপি আর টিডিপি একজোটে লড়বে লোকসভা ভোট। বিজেপি এই জোটে সঙ্গে পেয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের আরও এক রাজনৈতিক শক্তি জনসেনাকে। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেছেন, ‘ বিজেপি, টিডিপি, জনসেনা ভোটের জন্য জোট বেঁধেছে।’ মনে করা হচ্ছে, খুব শিগিরিই পার্টিগুলির তরফে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, শুধু লোকসভা নয়। বিজেপি-টিডিপি-জনসেনার জোট অন্ধ্রের বিধানসভা ভোটেও লড়বে একযোগে। উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা ভোটের সঙ্গে পড়ছে এই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। এদিকে, এই জোট নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বলেন, 'অন্ধ্রপ্রদেশকে খারাপভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি এবং টিডিপি একত্রিত হওয়া দেশ ও রাজ্যের জন্য একটি জয়সূচক পরিস্থিতি।'
উল্লেখ্য, অন্ধ্রের রাজনীতিতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মূল বিরোধী শক্তি হল চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি। দুই দলের সংঘাতের মাঝে তেলাঙ্গানা ও অন্ধ্রে ক্রমাগত শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে এনডিএ। সেই জায়গা থেকে এই জোট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অন্যদিকে, দক্ষিণের তাবড় সুপারস্টার পবন কল্যাণের জনসেনা বিজেপিকে সেখানে পিচ পোক্ত করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে জনতার কাছে পৌঁছতে বিজেপি একের পর এক কৌশল নিয়েছে। সদ্য তারা মোদীর ভাষণের আঞ্চলিক ভাষায় অনুবাদের জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্সের সাহায্য নিয়েছে। যার হাত ধরে, তেলুগু, তামিল, মালায়লমের মতো দক্ষিণী ভাষায় মোদীর ভাষণের অনুবাদ করা হচ্ছে। দক্ষিণের মানুষের আরও কাছে যেতে বিজেপি এবার দক্ষিণের আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তির ওপরেও ভরসা করছে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই তামিলনাড়ুতে মনিলা কংগ্রেসের সঙ্গে সদ্য সম্পন্ন হয়েছে বিজেপির জোট। এরপর অন্ধ্রে এল এই জোট।
লোকসভা ভোটে