সোমবার মিজোরামের এক পাথর খাদানে ধস নেমে চাপা পড়েছিলেন ১২ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল বিএসএফ-এর উদ্ধারকারী দল। জানা গিয়েছে, এখনও ৪ জন শ্রমিক নিখোঁজ। নিখোঁজ ৪ জন শ্রমিকের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এখনও। জানা গিয়েছে মৃত শ্রমিকদের মধ্যে পাঁচজনই বাংলার। তাঁদের মধ্যে চারজন নদিয়া জেলার বাকি একজন উত্তর ২৪ পরগনার।
হানথিয়াল জেলা প্রশাসনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলার যে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন – নদিয়ার পিবরাগাছির বাসিন্দা মদন দাস, নদিয়ার তেহট্ট কালিতলা পাড়ার বাসিন্দা রাকেশ বিশ্বাস, মিন্টু মণ্ডল এবং বুদ্ধদেব মণ্ডল। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডোলখালি খুলনার বাসিন্তা সুব্রত রপ্তানও মারা গিয়েছেন। এই পাঁচজনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। যে বেসরকারি সংস্থার হয়ে তাঁরা মিজোরামে কাজ করছিলেন, সেই সংস্থার সাহায্য নিয়ে মৃতদেহ দেহ তাঁদের বাড়ি ফেরানো হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, বিএসএফ-এর পাশাপাশি তল্লাশি অভিযানে অংশ নিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং অসম রাইফেলসের একটি দলও। উল্লেখ্য, আইজল শহর থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে হানথিয়াল জেলায় পাথর খাদানে দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল। জানা যায়, শ্রমিকরা মধ্যাহ্নভোজ সেরে এসে পাথর খাদানে কাজ করতে নেমেছিলেন। সেই সময়ই ধস নামে। তাতেই আটকে পড়েন ১২ শ্রমিক। বোল্ডার তৈরির জন্যই খাদান থেকে পাথর ভাঙার কাজ চলছিল। এই আবহে শ্রমিকদের পাশাপাশি পাঁচটি হিটাচি এক্সকাভেটর ও অন্যান্য ড্রিলিং মেশিন ধসের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছে।