ভয়াবহ ঘটনা বেঙ্গালুরুতে। ২০ বছর বয়সী এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবক এক বান্ধবীর সঙ্গে চ্যাট করত বলে অভিযোগ। আর সেটাই নাকি তার অপরাধ ছিল। আর সেই অভিযোগ তুলেই তাকে বাড়ি থেকে পরিকল্পিতভাবে তুলে এনে বেধড়ক মারধর করা হয়। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণের। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মৃত তরুণের নাম গোবিন্দরাজু।
অভিযুক্তদের নাম অনিল, লোহিত, ভারত ও কিশোর। ২০ বছর বয়সী ওই তরুণকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ওই চারজনের বিরুদ্ধে। সে একজন কিশোরীর সঙ্গে ফোনে চ্যাট করত বলে অভিযোগ। অপরাধ বলতে এটাই। আর তার জেরেই তাকে পিটিয়ে খুন। ডিসিপি নর্থ ডিভিশন দেবরাজ সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনিল নামে এক অভিযুক্ত গোবিন্দরাজুকে বাড়ির বাইরে ডেকে এনেছিল। এরপর তাকে বাইকে চাপিয়ে আন্দ্রালি এলাকায় নিয়ে যায়। পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত। পরে আরও তিন অভিযুক্ত সেখানে চলে আসে। এরপর লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে ওখানেই লুটিয়ে পড়ে ওই তরুণ। এদিকে ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা ফোন সুইচড অফ করে পালিয়ে যায়। পরে তাদের খোঁজ পায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে তারা লাশটিকে লোহিতের গাড়িতে তুলে দেয়। এরপর চারমুদিঘাট এলাকায় তারা দেহটি ফেলে পালিয়ে যায়। এদিকে ছেলে না ফেরায় বাড়ির লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হয়। এরপর তারা নিখোঁজ ডায়েরি করে। এরপর তদন্ত চলতে থাকে। পরে এক অভিযুক্তদের আটক করা হয়।
এদিকে জেরায় তারা গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। পরে দেহটির সন্ধান মেলে। পুলিশ এনিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।
তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। অপরাধ বলতে একজন মেয়ের সঙ্গে ফোনে চ্যাট করতেন ওই তরুণ। তার জেরেই একেবারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে তার উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মারের চোটে সে লুটিয়ে পড়ে। তারপরেও তাকে ছাড়া হয়নি। পিটিয়ে খুন করা হয়। তারপর দেহ লোপাটের জন্যও চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তদন্তে অনেক কিছুই সামনে এসেছে। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।