কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধ পালনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরাম। সেই বৈঠক থেকে কেন্দ্রের ‘শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, মানুষ বিরোধী এবং দেশবিরোধী নীতির’ বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতিবাদে নামার আর্জি জানানো হয়েছে।
কেন প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে?
যৌথ ফোরামের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্মীদের সঞ্চয়ের উপর কোপ মারছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ; কেরোসিন, পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যবিত্তকে ক্রমশ নুইয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কারা ২৮ এবং ২৯ মার্চ কোন কোন সংগঠন ভারত বনধে যোগ দেবে?
১) ব্যাঙ্কিং, বিমা-সহ আর্থিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংগঠন সেই বনধে সামিল হচ্ছে। কয়লা, লোহা, টেলিকম, তেল, ডাক, আয়কর, তামা ক্ষেত্রের সংগঠনও ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
২) বনধের সমর্থনে আওয়াজ তুলবে রেল এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের কর্মী সংগঠনগুলিও।
৩) কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ ফোরামে আছে আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এইচএমএম, সিটু, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, এআইসিসিটিইউ, এলএফপি এবং ইউটিইউসি-সহ। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘শ্রমিক বিরোধী’ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য রাজ্যস্তরেের বিভিন্ন ইউনিয়নকেও সেই ফোরামের তরফে বনধ সমর্থন করার আর্জি জানানো হয়েছে।
৪) আমজনতাকেও বনধের সমর্থন জানানোর আর্জি রেখেছে যৌথ ফোরাম। ‘মানুষকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান’ স্লোগান তোলা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমস্ত অফিস খোলা থাকবে
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার এবং মঙ্গলবার সরকারি কর্মীদের অফিসে যেতেই হবে।