অরুণ কুমার
বিহারে মন্ত্রিসভার রদবদলে দুটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক সামনে এল এবার। প্রথমত শিক্ষা দফতর। সেই ২০০৫ সাল থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতরটা এতদিন বরাবর জেডিইউর হাতেই থাকত। তবে এবার তার পরিবর্তন হয়ে গেল। বিহারের শিক্ষাদফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন আরজেডি নেতা চন্দ্রশেখর।
অন্যদিকে এতদিন ধরে বিহারের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বটা থাকত সহযোগীদের হাতে। হয় বিজেপি নয়তো আরজেডি এই দায়িত্ব সামলাত। তবে এবার সেখানেও রদবদল। অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব এবার নিজের কাছেই রাখল জেডিইউ। এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন।
অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থা বিহারের। বিপুল লোনের বোঝা। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রকের বিষয়টি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তবে কি কৌশলে সেই চাপের বিষয়টি জেডিইউর ঘাড়ে চাপিয়ে দিল আরজেডি?
অর্থনীতিবিদ তথা অধ্যাপক সুধাংশু কুমার জানিয়েছেন, বলা হচ্ছে বিহারে নাকি বিপুল কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু বিহারে নিজের রাজস্ব থেকে আয় অত্য়ন্ত সীমিত। সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে এটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।
এদিকে সমকাজে সমবেতনের কথা বলতেন আরজেডি নেতৃত্ব। আর এখন ক্ষমতায় সেই আরজেডি। সেক্ষেত্রে ক্ষমতায় থেকে সেই কথা রাখা কতটা সম্ভব সেই প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ সবটাই নির্ভর করছে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপরে।
অপর এক অর্থনীতিবিদের মতে, বিপুল খরচ সামলানোর ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় সীমিত আয়। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য় অন্যতম পথ হল বেসরসারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।